ফের রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কটাক্ষ রাজ্যপালের

রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে কটাক্ষ করে ফের টুইটে সরব রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। শনিবার, রাজ্যের মুর্শিদাবাদ ও কেরালার এর্নাকুলামের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে ৯ আল কায়দা জঙ্গিকে গ্রেফতার করে এনআইএ। তার মধ্যে ৬ জনই মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বাংলার গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিয়ে নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে প্রশ্ন তোলেন ধনকড়।

তাঁর অভিযোগ, রাজ্য বেআইনি বোমা তৈরির কারখানা হয়ে উঠেছে। এতে গণতন্ত্র বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা।
টুইটে মুখ্যমন্ত্রীকে ট্যাগ করে রাজ্যপাল লেখেন, পুলিশ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে রুখতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। যাঁরা পুলিশ–প্রশাসনে উচ্চপদে রয়েছেন, তাঁরা রাজ্যের আইন–শৃঙ্খলার এই পরিস্থিতিতে দায়িত্ব এড়াতে পারেন না।

আরও পড়ুন- ৩০ জন সাংসদ কোভিডে আক্রান্ত, কমতে পারে অধিবেশনের মেয়াদ

এরপরই রাজ্য পুলিশের ডিজিপি বীরেন্দ্রকে কটাক্ষ করে ধনকড় লেখেন, রাজ্যের বাস্তব পরিস্থিতির থেকে অনেক দূরে রয়েছেন ডিজিপি। এটা খুবই উদ্বেগের বিষয়।
তবে, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে সাধারণ পুলিশকর্মীদের ভূমিকার প্রশংসা করেন রাজ্যপাল। তবে, তারাই যখন রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত হন সেটা নিয়েই প্রশ্ন ওঠে বলে মন্তব্য করেন ধনকড়।
মুর্শিদাবাদে আলকায়দার মডিউলের ছজনের গ্রেফতার হওয়াকে উদ্বেগজনক বলে বর্ণনা করেছে রাজ্যপাল। পক্ষপাতদুষ্ট না হয়ে পুলিশ আইন মেনে চলবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
গণতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাজ্যপাল বলেন, “এটি অমূল্য এবং সমঝোতা যোগ্য নয়”। তাঁর মতে, এটা নাগরিক জীবনের পক্ষে ধ্বংসাত্মক বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

রাজ্যপালের টুইট প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, বেশিরভাগ জঙ্গি সীমান্ত হয়েই রাজ্যে ঢোকে। সে ক্ষেত্রে বিএসএফ কিন ব্যবস্থা নিচ্ছে না? তারা তো কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন। আগে দোষারোপ না করে কেন্দ্রের কাছে জবাবদিহি চাওয়া উচিত রাজ্যপালের- মন্তব্য করেন সৌগত। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও রাজ্যে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

আরও পড়ুন- কোভিড সারিয়ে সুস্থতার মাপকাঠিতে বিশ্বে প্রথম স্থানে ভারত