প্রান্তিক মানুষের মুখে হাসি ফোটাচ্ছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীদের ‘পুজো বাজার’

চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়

খুশির ঝিলিক নেই গরীব প্রান্তিক মানুষের মুখ গুলোতে।অতিমারীর আবহে রুজিরুটির চরম সঙ্কট  উৎসবের আনন্দকে কেড়ে নিয়েছে। দুশ্চিন্তার গোমরা মুখ গুলোতে একটু খুশির ঝলক আনতে,সকলকে নিয়ে উৎসবের আনন্দ ভাগ করে নিতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীরা আয়োজন করেছেন পুজোর বাজারের। প্রান্তিক দুঃস্থ মানুষের হাতে বিনামূল্যে তুলে দেওয়া হচ্ছে নতুন জামাকাপড়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পটুয়াটোলা লেনে চালু করা হয়েছে পুজোর পোশাকের বাজার। শনিবার সেখান থেকেই পোশাক দেওয়া হল। কলকাতার বিভিন্ন এলাকাতেও এমন পুজোর বাজারের আয়োজন করে প্রান্তিক মানুষের হাতে নতুন জামাকাপড় তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে উদ‍্যোক্তারা।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী তথা ছাত্র আন্দোলনের নেত্রী মধুজা সেন রায় জানান, বর্তমান সময়ে গরিব মধ‍্যবিত্ত মানুষের আর্থিক সঙ্কট শোচনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। প্রান্তিক মানুষের আর্থিক দুরবস্থা এমন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েছে যে খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকাটাই দুস্কর। আর্থিক সঙ্কটের এই দুঃসময়ে  উৎসবে ছেলে মেয়ে, পরিবারের সদস্যদের জন‍্য একটা নতুন জামা কাপড় না দিতে পারার মানসিক যন্ত্রণা আরও কুরে কুরে খাচ্ছে। উৎসবের আবহে তাই প্রান্তিক ঘরের শিশু, কিশোর, কিশোরী থেকে বিভিন্ন বয়সের মানুষের সঙ্গে উৎসবের আনন্দ খানিকটা ভাগ করে নেওয়ার জন‍্য আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীরা  ( বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন বামপন্থী ও প্রগতিশীল ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা) অর্থ সাহায্য করে এই উদ্যোগ নিয়েছি।

আরও পড়ুন-পুরোহিতদের ভাতা ঘোষণার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানালেন পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি
সমাজের এই স্তরের মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াতেই বিনামূল্যে পুজোর বাজারের পরিকল্পনা নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীরা। তাঁদের পুজোর বাজার শুরু হয়েছে ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে। চলবে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত। বাজারের স্থায়ী ঠিকানা কলেজ স্ট্রিট এলাকাতেই। ৫৯, পটুয়াটোলা লেন। নতুন জামাকাপড় কিনে এখানেই জমা করা হবে। এক বা দু’বার ব্যবহার করা জামাকাপড়ও কেউ দিতে চাইলে তাও এখানেই জমা করা হবে। তবে যেহেতু পুজোর বাজার তাই, সবাইকে নতুন জামাকাপড় দেওয়ার উদ্যোগই নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন- চিনের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে দিল্লিতে গ্রেফতার সাংবাদিক-সহ ৩ জন
আর এক প্রাক্তনী প্রদীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, আগামী দিনে এই উদ্যোগ কে আরও বড় আকারে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা আছে। এমন উদ্যোগকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সমাজের সর্বস্তরের মানুষ।

Previous articleচিকিৎসক- স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর হামলায় ৫ বছর জেল, আইন পাশ সংসদে
Next articleসোনামসজিদ দিয়ে ১৯৯ টন ভারতীয় পেঁয়াজ এল বাংলাদেশে