”মায়ের জন্যই রক্তদান”, নেতাজি ইন্ডোরে পুজোর ঢাকে কাঠি ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের

বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসব। তাই এবার করোনা আবহের মধ্যেই হাজার প্রতিকূলতা সত্ত্বেও পুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। অন্যবারের তুলনায় কাটছাঁট করে হলেও পুজোর প্রস্তুতি শুরু করেছেন উদ্যোক্তারাও। আজ, রবিবার তারই অঙ্গ হিসেবে নেতাজি ইন্ডোরে ইন্ডোর স্টেডিয়ামে রক্তদান শিবির করে দিলো ফোরাম ফর দুর্গাপুজো। কোভিড পরিস্থিতিতে সমস্ত সুরক্ষাবিধি মেনেই রক্ত সংগ্রহ করা হবে। কর্মসূচির নাম ”মায়ের জন্যই রক্তদান”। পাশাপাশি, করোনাজয়ীরা প্লাজমা দান করেছেন।

করোনা আবহে কী হবে পুজোর ভবিষ্যত, এ নিয়ে প্রশ্ন ছিলই। ফোরাম ফর দুর্গোৎসব কমিটি জানাচ্ছে, পুজো সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেই ঠিক করা হবে। উদ্বোধন থেকে শুরু করে বিসর্জন, সবটাই যেহেতু দেরি রয়েছে, সেক্ষেত্রে ধাপে ধাপে পরিকল্পনা করা হবে বলেই জানানো হয়েছে। এ ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর গাইডলাইন মেনেই চলা হবে বলে জানানো হয়েছে।

পাশাপাশি ফোরাম ফর দুর্গাপুজো আরও জানিয়েছে যে, ক্লাব লেভেলে মিটিং শুরু হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব মেনেই পুজো হবে। মণ্ডপে স্যানিটাইজার গেট করা হবে। প্রত্যেকের থার্মাল স্ক্রিনিং করা হবে। মাস্ক আবশ্যক। বাঙালির আবেগে কোনও ধাক্কা নয়, তাই নির্দিষ্ট গাইডলাইন মেনেই সম্পন্ন হবে সিঁদুর খেলা।

তবে আলোর জৌলুস কম থাকবে এবছর। ফোরামের এক সদস্যর কথায়, “মানুষ সচেতন হয়েই আসবেন আশা রাখব। এবারের পুজো অন্যভাবে হবে। সানিটাইজের যাবতীয় খরচা পুজো কমিটি নেবে। প্রয়োজনে ছোটো পুজো অর্থাৎ যাঁদের বাজেট কম তাঁদেরও কমিটি সাহায্য করবে।

তবে কন্টেনমেন্ট জোনে পুজো হবে কিনা সে ব্যাপারে সরকারের নির্দেশে উপর নির্ভর করা হবে। বয়স্ক বাচ্চা ও মহিলাদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা থাকবে বলেও জানানো হয়েছে। বাকি সিদ্ধান্তের কথা ২৫ সেপ্টেম্বর বৈঠকের পরই জানানো হবে।

নেতাজি ইন্ডোর এদিনের এই রক্তদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও অরূপ বিশ্বাস।

Previous articleস্থগিত মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফর
Next articleকৃষি বিল : তৃণমূলের বিক্ষোভে তপ্ত সংসদ, ধ্বনি ভোটে পাশ দুটি বিল