ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা, প্রকাশ্যে তেহরান-হোয়াইট হাউস তরজা

ইরানের বিরুদ্ধে ফের হুঁশিয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেয়ো সতর্ক করলেন রাষ্ট্রপুঞ্জের সদস্য দেশগুলিকে। কোনও দেশের তরফেই যেন ইরানকে অস্ত্র সরবরাহ বা এ ব্যাপারে প্রযুক্তিগত সাহায্য করা না হয় স্পষ্ট করলেন মাইক। ফেল ফের স্পষ্ট হল তেহরান ও হোয়াইট হাউসের তরজা।

ইরানের ওপর আমেরিকা যে নিষেধাজ্ঞা জারি করবে সে ইঙ্গিত ছিলই। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছিলেন তাঁরা রাষ্ট্রপুঞ্জের দ্বারস্থ হবেন। শনিবার মার্কিন বিদেশসচিব মাইক স্পষ্ট করে দেন, রাষ্ট্রপুঞ্জের কোনও সদস্য দেশ যেন ইরানকে কোনওরকম সাহায্য না করে। ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিরীক্ষা, পরমাণু, ক্ষেপণাস্ত্র সংক্রান্ত কোনও প্রযুক্তিগত সাহায্য তাদের করা যাবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কথা অমান্য করলে ফল যে ভালো হবে না সে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

আরও খবর : বিধি মেনে প্রায় ৬ মাস পরে খুলল তাজমহল, আগ্রা ফোর্ট

এই সূত্রপাত ২০১৫ সালের তেহরান পরমানু চুক্তি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তেহরানের মধ্যে হওয়া চুক্তি থেকে ২০১৮ সালে বেরিয়ে আসে ট্রাম্পের দেশ। তারপরই শুরু সম্পর্কের অবনতি।

তবে মার্কিন মুলুকের নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে সকলে একমত নয়। বিশষেত রাশিয়া ও চিন। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের বহু দেশ এই নিষেধাজ্ঞা সমর্থন করতে চায়নি। যদিও পম্পেয়ো জানিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে ভবিষ্যতে আরও কিছু পদক্ষেপ করা হবে। আর তা যদি না মানা হয় তাহলে নিয়মলঙ্ঘনকারী দেশই দায়ী থাকবে।
পাল্টা ইরান রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে চিঠি দিয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিবকেও কেউ তারা জানিয়েছে, নতুন করে মার্কিন মুলুকের এই নিষেধাজ্ঞা যেন কার্যকর করা না হয়। রাষ্ট্রপুঞ্জে ইরানের প্রতিনিধি মাজিদ তখত রাভাঞ্চি আবেদন করেছেন যেন রাষ্ট্রপুঞ্জের সদস্য দেশগুলি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দাদাগিরি না সমর্থন করেন। তেহরানের আশা নিরাপত্তা পরিষদের কিছু দেশ অন্তত তাদের পাশে দাঁড়াবে।