Wednesday, December 17, 2025

স্বেচ্ছা ঋণখেলাপিদের থেকে টাকা ফিরবে কী করে প্রশ্ন মন্ত্রীকে!

Date:

Share post:

ব্যাঙ্ক থেকে মোটা টাকা নিয়ে ব্যবসা করে, ঋণ ফেরতের সময় গা ঢাকা দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। দেশে ক্রমশই বাড়ছে এই সমস্ত ঋণখেলাপির সংখ্যা যাদের সম্পত্তি থাকা সত্ত্বেও ঋণের টাকা ব্যাঙ্কে ঢুকছে না। এই সমস্ত ঋণখেলাপিদের সংখ্যা কত, তাদের থেকে টাকা উদ্ধারের ব্যাপারে কেন্দ্র কী ভাবছে প্রশ্ন করা হয়েছিল। আর তাতেই কেন্দ্রের অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ সিং ঠাকুর জানাচ্ছেন CRILC (সেন্ট্রাল রিপোসিটারি অফ লার্জ ক্রেডিট)-এর তথ্য অনুযায়ী  রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাঙ্ক মিলিয়ে শেষ আর্থিক বছরে উইলফুল ডিফলটার অর্থাত্ ঋণ শোধের ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও যিনি দেননি এমন ঋণখেলাপির সংখ্যা ২১৯।আর তাঁদের জন্য ব্যাঙ্কগুলির ক্ষতির অঙ্ক ১২ হাজার ৩৩৮ কোটি।

স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন এই ২১৯-জনের মধ্যে কি নীরব মোদি থেকে মেহুল চোকসি ও বিজয় মালিয়ারা আছেন? কারণ শিল্পপতি বিজয় মালিয়ার কাছেই ভারতের ব্যাঙ্ক পায় ৯০০০ কোটি টাকা। আর নীরব মোদি-মেহুল চোকসিকে মেলালে টাকার অঙ্ক প্রায় ১৩ হাজার কোটি। সুতরাং উইলফুল ডিফল্টার বা স্বেচ্ছা ঋণখেলাপি হিসেবে তিন জনের কাছ থেকে না-পাওয়া টাকার অঙ্ক গিয়ে দাঁড়ায় প্রায় ২০ হাজার কোটিতে।

আরও খবর :যৌন হেনস্থায় অভিযোগ অনুরাগের বিরুদ্ধে, মুখ খুললেন পরিচালকের প্রাক্তন দুই স্ত্রী

এই টাকা কীভাবে পুনরুদ্ধার হবে তারও নির্দিষ্ট রূপরেখা মেলেনি। বিভিন্ন রাষ্ট্রয়ত্ত ও বেসরকারি ব্যঙ্ক ও পাশাপাশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণবাবদ কত টাকা ফেরত পায় তারই উত্তর জানতে চাওয়া হয়েছিল। তাতেই প্রতিমন্ত্রী জানান, আরবিআই, ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের রিপোর্ট অনুযায়ী ফ্রেব্রুয়ারি ২০১৯ সালের পর থেকে এখনও পর্যন্ত অনাদায়ী ঋণের অঙ্ক প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা।

পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্কের তথ্য অনুযায়ী ১০, ১০৭ কোটি টাকা গত তিন বছরে তারা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। তবে ঋণের টাকা পুনরুদ্ধারের ব্যাপারে বেসরকারি ব্যাঙ্কের তথ্য আরবিআই-এর হাতে নেই।

২০১৫ সালে আরবিআই-এর সার্কুলার অনুযায়ী উইলফুল ডিফলটার তাঁরা যাদের ঋণ পরিশোধের ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও ফেরত দেয়নি। যে সম্পত্তি দেখে সে সময় ব্যাঙ্ক ঋণ দিয়েছিল, হয় সেগুলো তারা গোপনে বিক্রি করেছে, নয়তো অন্য কৌশলে সরিয়ে ফেলেছে। টাকা শোধের নামে মোটা টাকা নিয়ে পালিয়েও গিয়েছে এমন ব্যাবসায়ীও রয়েছে বহু।

গত তিন বছরে যদি স্বেচ্ছা ঋণখেলাপির সংখ্যা বেড়ে থাকে, তাহলে সেই সংখ্যা কত, ঋণখেলাপিদের বাজেয়াপ্ত সম্পত্তির পরিমাণের কথাও জানতে চাওয়া হয়। তাদের থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা কত প্রশ্ন করা হয় মন্ত্রীকে।

তাদের থেকে কীভাবে টাকা উদ্ধার হবে তার সদুত্তর মেলেনি।এই সমস্ত ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাও করা হয়েছে।সিবিআইও এই ধরনের প্রতারণার তদন্ত করেছে।সিবিআই এর কাছে ২০১৮-২০২০ সাল পর্যন্ত ব্যাঙ্কের তরফে ৫১২টি মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। যার মধ্যে ২৬৯টি মামলার শুনানি চলছে।

spot_img

Related articles

ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানে অগ্রগতি, শিলাবতী ও কাটান খালে সমীক্ষার সিদ্ধান্ত রাজ্যের

ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান (Ghatal Master Plan) রূপায়ণের পথে আরও এক ধাপ এগোল রাজ্য সরকার। দীর্ঘদিন আটকে থাকা এই...

তৃণমূল কাউন্সিলর খুনে সাজা ঘোষণা, তিনদোষীর যাবজ্জীবন

পানিহাটির তৃণমূল কাউন্সিলার অনুপম দত্ত খুনের মামলায় তিন অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের (TMC Councillor Murder) সাজা শোনাল ব্যারাকপুর আদালত।...

ঢাকায় হুমকি হাইকমিশনে: বাংলাদেশের হাই কমিশনারকে তলব বিদেশ মন্ত্রকের

বাংলাদেশে ভারতীয় দূতাবাসে ক্রমাগত হুমকি। অথচ বাংলাদেশের মহম্মদ ইউনূস (Mohammed Yunus) পরিচালিত অন্তর্বর্তী সরকার নীরব। প্রতিবেশী দেশ ভারতের...

বাংলায় কোটি কোটি রোহিঙ্গা-বাংলাদেশি কোথায়? মিথ্যাচারের জন্য ক্ষমা চাক বঙ্গ বিজেপি: তীব্র নিশানা অভিষেকের

বিজেপি বলেছিল বাংলায় এক-দেড় কোটি রোহিঙ্গা, অগণিত বাংলাদেশি নাগরিক আছে। তারা কোথায় গেল? বাংলার ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন...