অনুপমকে কটাক্ষ করে বিশ্বভারতীর “সেক্স র‍্যাকেট” নিয়ে নিজের মন্তব্যে অনড় অগ্নিমিত্রা

দুই নেতা-নেত্রীর মন্তব্য এবং পাল্টা মন্তব্য ঘিরে রাজ্য বিজেপির অন্দর মহলে কাজিয়া তুঙ্গে। বিশ্বভারতীতে “সেক্স র‍্যাকেট” চলে, অগ্নিমিত্রা পলের এই মন্তব্যের পর অনুপম হাজরা তার তীব্র বিরোধিতা করেন। এবার বিজেপি নেতা অনুপম হাজরার বক্তব্যকে উড়িয়ে দিয়ে নিজের মন্তব্যকে প্রতিষ্ঠা করতে সরাসরি আসরে নামলেন বিজেপি মহিলা মোর্চা সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পল।

এদিন এ প্রসঙ্গে ফের বিজেপি মহিলা মোর্চার সভাপতি বলেন, “মানুষের সঙ্গে কথা বলে যা বুঝেছি সেই মন্তব্যই রেখেছি। শান্তিনিকেতনের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বাংলার সেন্টিমেন্ট। সাধারণ মানুষের বছরের পর বছর এই অভিযোগ এবার প্রকাশ্যে আসা দরকার। রাজনৈতিক তরজা না করে আসল ঘটনা সামনে আসা উচিত।”

উল্লেখ্য, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কাণ্ড নিয়ে রাজনীতি করতে নেমে ফাঁপড়ে পড়ে গেরুয়া শিবির। বিশ্বভারতীতে “সেক্স র‍্যাকেট” তত্ত্ব নিয়ে দ্বিচারিতা প্রকট রাজ্য বিজেপির অন্দরে। বিশ্বভারতীতে বিজেপি মহিলা মোর্চা সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পলের “সেক্স র‍্যাকেট” তত্ত্বের সরাসরি বিরোধিতা করেন বীরভূমের ভূমিপুত্র তথা বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত শান্তিনিকেতনে পৌষ মেলার ভুবনডাঙার মাঠে রাতের অন্ধকারে বিভিন্ন অসামাজিক কাজকর্ম হয়, সেক্স র‍্যাকেট চলে বলে দাবি করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তার সুরে সুরে মিলিয়ে একই দাবি করেছিলেন বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। এবার তাঁদের সেই দাবি উড়িয়ে দিলেন দলের আরেক নেতা অনুপম হাজরা।

রবিবার বোলপুরে দাঁড়িয়ে বিজেপি নেতা তথা অধ্যাপক অনুপম হাজরা জানান, “আমি এই জেলার ছেলে। নিজে বিশ্বভারতীর ছাত্র ছিলাম। দীর্ঘদিন এখানেই পড়াশুনা করেছি। সেই সুবাদে এখানকার সবকিছু হাতের তালুর মতো চিনি। এখানে সেক্স র‍্যাকেট চলে বলে আমার অন্তত জানা নেই। এসব ভুলভাল খবর করা রটায় জানি না। যারা এসব বলছে, তাদের বিশ্বভারতী সম্পর্কে ন্যূনতম ধারণা নেই। ফলে কে কী বলল সেটা আমি দেখতে যাব না। এখানে ছোট থেকে বড় হয়েছি। বিশ্বভারতী নিয়ে আমরা একসাথে লড়ছি। তবে তার মানে এটা নয় যে বিশ্বভারতীর নামে ভুলভাল বলব। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেপুটেশন খারাপ করে দেব। আমরা যারা এখানে বড় হয়েছি তাদের কাছে বিশ্বভারতী একটা আবেগের নাম। আমি এখানে অন্তত কোনও দিন সেক্স র‍্যাকেট চলতে দেখিনি। ফলে কে কী বলেছেন সে দায়িত্ব তাঁর নিজের।”

আর অনুপমের এমন চাঁচাছোলা মন্তব্যের পরই রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। অনুপম যে নাম না করে অগ্নিমিত্রাকেই নিশানা করেছেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। শুধু তাই নয়, ঘনিষ্ঠ মহলে অনুপম জানিয়েছেন, বিশ্বভারতী সম্পর্কে অগ্নিমিত্রা পলের এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য শুধু বোলপুর নয়, গোটা বীরভূম জেলাতেই বিজেপিকে ডোবানোর জন্য যথেষ্ট। যদিও তিনি ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে পারবেন বলেই জানিয়ে ছিলেন শীর্ষ নেতৃত্বকে। কিন্তু অগ্নিমিত্রার পাল্টা বক্তব্যের পর সেগুড়ে বালি!

আরও পড়ুন-রাজ্য বিজেপিতে দ্বিচারিতা প্রকট! বিশ্বভারতীতে অগ্নিমিত্রার “সেক্স র‍্যাকেট” তত্ত্বের বিরোধিতা অনুপমের

Previous articleস্বেচ্ছা ঋণখেলাপিদের থেকে টাকা ফিরবে কী করে প্রশ্ন মন্ত্রীকে!
Next articleহোমওয়ার্কের গেরো, গাছ উঠে পড়াশোনা ক্ষুদেদের