হোমওয়ার্কের গেরো, গাছ উঠে পড়াশোনা ক্ষুদেদের

১৫ বছরের তানিশা, ১৩ বছরের গগন। পড়াশোনার জন্য উঁচু গাছই এখন তাদের ভরসা।

কোভিড পরিস্থিতিতে স্কুল-পাঠশাল বন্ধ। যুগ এখন অনলাইন ক্লাসের। তানিশা, গগনের বাবা তাদের স্মার্টফোন কিনে দিয়েছেন। কিন্তু ইন্টারনেট কই হরিয়ানার মোরনি ব্লকের দাপানা গ্রামে। গাছ বেয়ে মগডালে চড়লে তবু নেটওয়ার্ক মেলে। আর তা দিয়েই কাজ সারতে হয়। রোজের কী পড়া দিচ্ছে স্কুল, সেগুলো কী করে করতে হবে তা জানতে অনলাইন ক্লাস করতেই হবে। তাই ভরসা গাছ।সকলে উঠতে পারে না গাছে। তাই একএকদিন একজন ওঠে। পড়া বুঝে বাকিদের বুঝিয়ে দেয়।

ছাত্রী তানিশা জানাল, ইন্টারনেট পেতে হয় গাছে চড়তে হয় নয়তো গ্রাম থেকে অনেক দূর যেতে হয়। কোনওদিনই সময়ে হোমওয়ার্ক তারা জমা দিতে পারে না।

আরও খবর : স্বমহিমায় ফিরে নতুন মুখের বিপরীতে দীপিকা

মোরনিতে বহু জায়গা রয়েছে যেখানে ইন্টারনেট পরিষেবা দূরের ব্যাপার মোবাইল নেটওয়ার্কই কাজ করে না। অনলাইন ক্লাসের জন্য পড়ুয়াদের এই ঝক্কির ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।দাপানা গ্রাম পঞ্চকুলা-মাদানা-মরনি লিংক রোড থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার দূরে।পঞ্চকুলা শহর থেকে ২৮ কিলোমিটার দূরের গ্রামে মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট পরিষেবার এই হাল। গ্রামের বেশিরভাগই হয় চাষ করেন নয়তো দিনমজুর। হাতে গোনা কয়েকটা কম দামি স্মার্টফোন আছে। আর সেগুলোও ভরসা। একজন পড়া বুঝে বাকিদের বোঝায়।

স্থানীয় ভূরি সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুলের প্রিন্সিপাল সুশীলা দেবী জানেন সমস্যার কথা। বলেলন, ছেলেমেয়েরা এরপরও পড়াশোনার চেষ্টা করছে। অসুবিধে হয় খুব। তবু ওদের উত্সাহ দেখে আমরা উত্সাহ পাই।

পঞ্চকুলার বিধায়ক তথা হরিয়ানা বিধানসভার অধ‍্যক্ষ জ্ঞানচাঁদ গুপ্তা জানিয়েছেন, মোরনি জঙ্গলঘেরা পাহাড়ি এলাকা। মোবাইলের নেটওয়ার্কের সমস্যার কথা তিনি জানেন। নিজেও ভুক্তভোগী। দ্রুত এ নিয়ে পদক্ষেপ করবেন।

এদিকে শিক্ষামন্ত্রী কানোয়ার গোপাল গুজ্জার জানিয়েছেন, পঞ্চকুলার জেলা শিক্ষা আধিকারিকের কাছে তিনি রিপোর্ট চেয়েছেন। রিপোর্ট মিললেই শিক্ষা দফতর ব্যবস্থা নেবে। তবে শুধু হরিয়ানা নয় বেশিরভাগ রাজ্যের গ্রামাঞ্চলেই অনলাইন ক্লাস করতে গিয়ে চরম সমস্যার মুখোমুখি পড়ুয়ারা। লকডাউন নতুন করে ভাবাচ্ছে, ডিজিটাল ইন্ডিয়া কার্যকর করা কতটা জরুরি।

Previous articleঅনুপমকে কটাক্ষ করে বিশ্বভারতীর “সেক্স র‍্যাকেট” নিয়ে নিজের মন্তব্যে অনড় অগ্নিমিত্রা
Next articleকৃষি বিল নিয়ে বিরোধিতার মধ্যেই রবিশস্যের এমএসপি বাড়ালো কেন্দ্র