লাগামছাড়া দাম বৃদ্ধি, পেঁয়াজের ঝাঁঝে চোখে জল মধ্যবিত্তের

কলকাতা হোক বা জেলা, রাজ্যের সব বাজারেই পেঁয়াজ নিয়ে ত্রাহি ত্রাহি রব। বারাসত বা রিষড়ার বাজারে আবার বাছাই পেঁয়াজ ৯০ টাকা। যেগুলি বাছাই নয়, সেগুলি ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিকোচ্ছে।

আরও পড়ুন- কৃষকদের জন্য কুমিরের কান্না কেঁদে লাভ নেই, মুখ্যমন্ত্রীকে টুইট রাজ্যপালের
কোলে মার্কেট এবং পোস্তা বাজারে আড়তদারা কিন্তু অন্য কথা বলছেন। তাঁদের দাবি, পেঁয়াজের দাম যে বেড়েছে তাতে সন্দেহ নেই। নাসিক এবং দক্ষিণ ভারত থেকে যে পেঁয়াজ আসত, তাতে ভাটা চলছে। কিন্তু তা বলে ৬০ বা ৭০ টাকা নেওয়ার মতো পরিস্থিতি হয়নি। বুধবারও ৪৫ থেকে ৪৬ টাকায় কেজি প্রতি পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোলে মার্কেটের আড়তদাররা। পেঁয়াজ ব্যবসায়ী রাকেশ চন্দ্র বলেন, “রাজ্যে প্রতি দিন গড়ে ৬০টি করে ট্রাক ঢুকত। এক একটি ট্রাকে ১৬ টন, কোনওটায় ১৮ টন পেঁয়াজ আসত। কিন্তু সেই জায়গায় রাজ্যে ৪০টি ট্রাক ঢুকছে। লকডাউনের জন্য কলকাতায় গোটা ২০র বেশি আসছে না। ফলে জোগানে তো ঘাটতি হবেই। তবে ঘাটতি থাকলেও, আড়তদাররা কম বেশি ৪৫ টাকা কেজি দরে পাইকারি বিক্রি করছে।’’ তাঁর দাবি, ‘‘খুচরো বাজারে এত দাম হওয়া উচিত নয়।”
আবার একাংশের মতে, আরও খারাপ পরিস্থিতি হতে পারে।

আরও পড়ুন – ধর্ম বিদ্বেষের নজির খাস কলকাতায়, মাদ্রাসা শিক্ষকদের ঘর দিল না গেস্ট হাউস কর্তৃপক্ষ

পোস্তা বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, “মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরোক্ষ প্রভাব পেঁয়াজ ব্যবসায় পড়েছে। সুযোগের সদ্ব্যবহার করছেন একাংশের ব্যবসায়ীরা। একে পেঁয়াজের আকাল, তার উপরে তাঁদের ফাটকাবাজারি, দেশ জুড়ে তার প্রভাব পড়ছে।” সবমিলিয়ে যা পরিস্থিতি পুজোর মুখে আলুর দাম যেমন বেড়েই চলেছে, তেমনি পাল্লা দিয়ে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। তাই বাজারে গিয়ে এই দুটি কিনতেই মধ্যবিত্তের পকেট খালি হয়ে যাচ্ছে । রাজ্যের তরফে টাস্কফোর্সের প্রতিনিধিরা বিভিন্ন বাজারে নজরদারি চালাচ্ছেন ঠিকই, কিন্তু তাতেও নিয়ন্ত্রণে করা যাচ্ছে না আলু-পেঁয়াজের দাম ।

Previous articleকৃষকদের জন্য কুমিরের কান্না কেঁদে লাভ নেই, মুখ্যমন্ত্রীকে টুইট রাজ্যপালের
Next articleমদ খেয়ে শারীরিক নির্যাতন করেন স্ত্রী! আতঙ্কে স্বামী