চিন দূর হঠো! ভূখন্ড দখলের প্রতিবাদে এবার চিন-বিরোধী বিক্ষোভ নেপালে

বন্ধুর মুখোশ পরে নেপালের ভূখণ্ড কবজা করছে চিন। নেপালের এলাকার মধ্যে চালিয়ে যাচ্ছে বেআইনি নির্মাণ। শি জিনপিং সরকারের বিরুদ্ধে এই মারাত্মক অভিযোগ ওঠার পরে মৌনব্রত নিয়েছেন ‘চিনের দালাল’ নেপালি প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। ভারত বিরোধিতার সূত্রে এখন হরিহর আত্মা জিনপিংয়ের চিনা কমিউনিস্ট পার্টি ও ওলির নেতৃত্বাধীন নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি। চিনের প্ররোচনায় একদিকে যখন ভারত বিদ্বেষী নানা পদক্ষেপ নিচ্ছেন ওলি, তখন তাঁর নিজের দেশের ভূখণ্ডই নীরবে কবজা করে নিচ্ছে ‘বন্ধু’ চিন। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয়েছে নেপালে। মুখ বাঁচাতে নেপালের স্বরাষ্ট্র ও বিদেশ মন্ত্রক রিপোর্ট তলবের কথা বললেও প্রবলভাবে মুখ পুড়েছে চিনা দালাল ওলির।

চিনের জমি হাতানোর আগ্রাসী পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বুধবারই প্রবল বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছে নেপাল। ভারতের পড়শি দেশের আন্দোলনে চিন বিরোধী স্লোগান উঠেছে, ব্যানারে লেখা রয়েছে, ‘‌ব্যাক অফ চায়না।’‌ চিনের অনৈতিক অনুপ্রবেশ ও তাঁদের দেশের সব বিষয়ে বেজিং সরকারের নাক গলানোর বিষয়টি যে পাহাড়ি দেশ নেপালের মানুষ মেনে নেবেন না, সেটা স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছে এদিনের বিক্ষোভ। এদিন কাঠমাণ্ডু শহরের রাস্তায় চিন বিরোধী প্রচার বুঝিয়ে দিয়েছে আগামী দিনে এই ইস্যুতে আন্দোলন আরও তীব্র হবে। বুধবার নেপালের রাজধানীতে পথে নামেন অসংখ্য মানুষ। তাঁদের মুখে ছিল চিন বিরোধী স্লোগান, ব্যানারে লেখা ছিল ‘‌ব্যাক অফ চায়না।’‌

উত্তর নেপালের হুমলা জেলায় কয়েকদিন আগেই চিনা অনুপ্রবেশ ধরা পড়ে। নেপালের ওই এলাকা এখন নিজেদের বলে দাবি করছে চিনা প্রশাসন। সেই ঘটনার প্রতিবাদেই এদিন কাঠমাণ্ডুতে চিনা দূতাবাস ঘেরাও করেন নেপালের সাধারণ মানুষ। আগেই হুমলা চেলার লাপচা এলাকা, যেখানে চিন প্রায় ন’টি অবৈধ নির্মাণ করছে, সেখানকার সাধারণ মানুষ স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেনি ওলি সরকার। নেপাল ও তিব্বত সীমান্তের এই গ্রাম এমনিতেই দুর্গম। রাস্তাঘাট, যোগাযোগের উন্নত পরিকাঠামো নেই। কিন্তু নেপালের দিক থেকে যোগাযোগের অসুবিধা থাকলেও, চিনের দিক থেকে ভাল রাস্তা আছে। চিনা প্রশাসনই সেই রাস্তা তৈরি করেছে। আর সেখান থেকেই নেপালের ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ করেছে চিন। কবজা করেছে এলাকা। আর শুধু অনুপ্রবেশই নয়, স্থানীয় মানুষদের রীতিমতো হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ সেই এলাকার নেপালি মানুষদের। চিনারা হুমকি দিচ্ছে, নেপালের ওই অংশের বাসিন্দারা যেন সীমান্তের আশেপাশে না যান। এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসে নেপালের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। যদিও, এখনও পর্যন্ত নেপালের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক কোনও রিপোর্ট জমা করেনি। কিন্তু চাপে পড়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

আরও পড়ুন- Big Breaking: করোনার জেরে মাধ্যমিকে সিলেবাস কাটছাঁটের ভাবনা, পিছিয়ে যেতে পারে উচ্চ মাধ্যমিক

 

Previous articleBig Breaking: করোনার জেরে মাধ্যমিকে সিলেবাস কাটছাঁটের ভাবনা, পিছিয়ে যেতে পারে উচ্চ মাধ্যমিক
Next articleগোয়া থেকে সমন পেয়েই তিন আইনজীবীর সঙ্গে ভিডিও আলোচনায় দীপিকা