একেই বলে ‘কার্পেট- বম্বিং’ !
“তৃণমূল বা অন্য দল থেকে বিজেপিতে আসা লোকজন যে কোনও মুহুর্তে বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারেন। একুশের ভোটের আগে এদের থেকে সাবধান থাকতে হবে৷”
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের একান্ত সাক্ষাৎকারে বিস্ফোরক এই মন্তব্য করেছেন সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেওয়া তথাগত রায়৷ তাঁর এই মন্তব্যে কার্যত ‘সন্দেহভাজন’ হয়ে গেলেন তৃণমূল, সিপিএম বা কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতারা।
এখানেই না থেমে বঙ্গ- বিজেপির প্রাক্তণ সভাপতি তথাগত রায় বলেছেন:
◾অন্য দল থেকে আসা নেতারা সৎ উদ্দেশ্যে বিজেপিতে আসেননি৷
◾মুর্শিদাবাদ থেকে NIA ৯ জন সন্দেহভাজন আল কায়েদার জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে। তাদের মধ্যে একজন না’কি পুলিশ বা আধাসামরিক বাহিনীতে ঢোকার চেষ্টা চালাচ্ছিল। বিজেপিতেও একইভাবে ‘অনুপ্রবেশ’ করছে অন্য দলের নেতারা।
◾দলের উচিত যারা বিজেপিতে যোগ দিতে চাইছেন, তাদের জন্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করা। এরা কোথা থেকে এসেছেন, সেদিকেই আসল নজর দেওয়া উচিত।
◾আমি বিজেপিতে যোগ দেওয়া মুসলিম নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে এ সব কথা বলছি না।
◾২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পরে যাঁরা অন্য রাজনৈতিক দল থেকে বিজেপিকে যোগ দিয়েছেন, তাঁদের কথাই বলতে চাইছি। তাঁরাই যে কোনও মুহুর্তে দলের সঙ্গে বেইমানি করতে পারেন।
◾২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের পর থেকে রাজ্য বিজেপিতে বেনোজল ঢুকতে শুরু করেছে।
◾কিছু মানুষের সৎ উদ্দেশ্যে বিজেপিতে আসেননি৷
◾একুশের ভোটে বিজেপির ক্ষমতায় আসার সুযোগ রয়েছে বলেই এরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছে৷
◾ক্ষমতার অলিন্দে থাকার জন্যই অন্য দলের বেশ কিছু নেতা বেনোজলের মতো ঢুকে পড়ছে দলে।
◾আমাদের দলে এখন শুদ্ধিকরণ দরকার। নতুন যোগদানকারীদের জন্য পরীক্ষার ব্যবস্থাও করা দরকার”।
◾বিজেপির কিছু নেতার সংকীর্ণতার কারণেই কিছু বিজেপি বিরোধী দল ফায়দা লুটছে। এরা দলের সাথে বেইমানি করতে পারে। দলের শীর্ষস্তরের উচিত এই ধরনের নেতা ও কর্মীদের দল থেকে তাড়িয়ে দেওয়া৷
আরও পড়ুন- বাড়ি ও খুচরো ঋণ পরিশোধে সাময়িক ছাড় এসবিআইয়ের