Wednesday, May 7, 2025

করোনায় আক্রান্ত নাকি ফ্লু বা সর্দি-কাশি হয়েছে, ঋতু পরিবর্তনে বুঝবেন কীভাবে?

Date:

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের জেরে রীতিমতো কাঁপছে বিশ্ব। ভারতেও বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। যদিও সুস্থতার হারও বাড়ছে । এরইমধ্যে জ্বর-কাশি হলে করোনার ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন অনেকেই। সিজনাল ফ্লু ও করোনার উপসর্গে কিছু মিল থাকায় দুশ্চিন্তা আরও বাড়ছে।যদিও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের  মতে, কিছু উপসর্গ এক হলেও সাধারণ সর্দি-কাশি, সাধারণ ফ্লুয়ের সঙ্গে করোনাভাইরাসের যথেষ্ট অমিল রয়েছে। তাই দুশ্চিন্তা না করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। করোনাভাইরাস, সাধারণ ফ্লু ও সাধারণ সর্দি-কাশির উপসর্গ-সহ সব তথ্য দেখে নিন-

করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, নেপাল, মালয়েশিয়াতেও। সংক্রমণ ছড়িয়েছে ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া এবং আমেরিকাতেও। কিন্তু করোনাভাইরাসে যে আক্রান্ত আপনি, তা বুঝবেন কী করে। প্রাথমিক ভাবে করোনাভাইরাসের প্রায় সব লক্ষণই সাধারণ সর্দি-কাশি-জ্বরের মতো।

আরও পড়ুন- “কল্পতরু” মুখ্যমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানালো ফোরাম ফর দুর্গোৎসব

করোনাভাইরাসে সাধারণ লক্ষণ

১. জ্বর
২. শুকনো কাশি
৩. নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট
৪. পেশিতে যন্ত্রণা
৫. ক্লান্তি

অল্প  করোনভাইরাস লক্ষণ

১. বুকে কফ জমে যাওয়া
২. মাথা ব্যাথা
৩. হেমোটাইসিস
৪. ডায়ারিয়া

এই লক্ষণগুলি থাকলে বুঝবেন সাধারণ সর্দি-কাশি-

১. সর্দি

২. গলায় ব্যাথা

যেহেতু করোনাভাইরাস লোয়ার রেসপিরেটরি ট্র্যাক্টে হামলা করে তাই এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর শুকনো কাশি, নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট, নিউমোনিয়া দেখা দিতে পারে। কিন্তু কোনওভাবেই গলায় ব্যাথা থাকবে না।

ফ্লু এবং ঠান্ডা লাগার মধ্যে পার্থক্য

সাধারণ ঠান্ডা লাগলে গলা খুসখুস করার পাশাপাশি নাক দিয়ে জল পড়ে এবং কাশি হয়। সঙ্গী হতে পারে মাথা ব্যাথা ও সামান্য জ্বরও। কমপক্ষে ৭দিন ভোগান্তি হয় রোগীদের।
অন্যদিকে ফ্লু হলে মাথা ও গা-হাত-পায়ে ব্যাথা, শুকনো কাশি, গলা ভাঙার পাশাপাশি গলায় ব্যাথা ও প্রচন্ড জ্বরে কাবু হয়ে যান রোগী। জ্বর কখনও কখনও ১০৫ ডিগ্রি ফ্যারেনহাইটও ছাড়াতে পারে। কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে।
সাধারণ ঠান্ডা লেগে জ্বর হলে তিন চার দিনের মধ্যেই তা কমে যায়। এক সপ্তাহের মধ্যে রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যান।
অন্যদিকে ফ্লু হলে জ্বর কমতেই অন্তত এক সপ্তাহ সময় লেগে যায়। সম্পূর্ণ সুস্থ হতে বেশ কিছুটা সময় লাগে।
করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে ইনকিউবেশন পিরিয়ড (শরীরে ভাইরাস ঢোকা থেকে প্রথম উপসর্গ দেখা দেওয়া পর্যন্ত সময়) – এক থেকে ১৪ দিন। কোনও কোনও ক্ষেত্রে তা ২৪ দিনও হতে পারে।
জটিলতা – করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে পাঁচ শতাংশের অবস্থা জটিল হয় (অ্যাকিউট নিউমোনিয়া, সেপটিক শক, মাল্টি অর্গ্যান ফেলিওর ও রেসপিরেটরি ফেলিওর)।

আরওপড়ুন- সুরের ভেলায় চেপে না ফেরার দেশে এস পি

চিকিৎসা – কোনও প্রতিষেধক বা অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ নেই। শুধুমাত্র উপসর্গের চিকিৎসা করা যায়। জ্বরের জন্য প্যারাসিটিমল, রোগ প্রতিরোধে অ্যান্টিবায়োটিক এবং শরীরের ইমিউনিটি পাওয়ার বাড়ানোর জন্য ভিটামিন খাওয়া যেতে পারে।

Related articles

SSC নিয়ে আদালত অবমাননার মামলা গ্রহণ করল না কলকাতা হাইকোর্ট

২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় চাকরিহারাদের বেতন ফেরানোর সুপ্রিম নির্দেশ কার্যকরী হচ্ছে না অভিযোগ করে আদালত অবমাননার মামলা...

পহেলগামের জঙ্গি হামলার জবাব দিল ভারত, জয় ইন্ডিয়া! বললেন মুখ্যমন্ত্রী 

পহেলগামের জঙ্গি হামলার বদলা নিল ভারতীয় সেনা (Indian Army)। অপারেশন সিঁন্দুরের (Operation Sindoor) মাধ্যমে প্রায় ৯০ জঙ্গিকে মারল...

পহেলগামের প্রত্যাঘাতে খুশি স্বজনহারারা, জেনে নিন কেন ‘OPERATION SINDOOR’ নামকরণ

ভূস্বর্গের নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে গিয়ে চোখের সামনে সবটা শেষ হয়ে গেছিল গত বাইশে এপ্রিল। পহেলগামে (Pahelgam attack)...

রাতেই POK-তে হামলা, বুধের সকালে দেশজুড়ে অসামরিক মহড়া 

কাশ্মীরের পহেলগামে জঙ্গি হামলার প্রায় দু সপ্তাহ পর মঙ্গলবার মধ্যরাতে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে হামলা চালালো ভারত (Indian Army...
Exit mobile version