মধ্যরাতে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯ জায়গায় ভারতীয় সেনার প্রিসিশন স্ট্রাইক (Precision Strike)। পহেলগাম হামলার (Pahelgam Attack revenge)বদলা নিল ভারত। মিসাইল হামলা করে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো হিজবুল, লস্কর এবং জইশের ঘাঁটি। সুপরিকল্পিতভাবে করা ভারতের এই এয়ার স্ট্রাইকের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন সিন্দুর’ (Operation Sindoor) । রাতেই ভারতীয় সেনার (Indian Army) তরফে এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়, ‘জাস্টিস ইজ সার্ভড, জয় হিন্দ’। এদিন সকাল দশটায় ভারতীয় সেনার সাংবাদিক বৈঠক রয়েছে। সেখানেই এই অপারেশন সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে। সকাল ১১ টায় ক্যাবিনেট মিটিং করবেন প্রধানমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) বাসভবনে পৌঁছেছেন জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির উপদেষ্টা অজিত ডোভাল।
কাশ্মীরের পহেলগামে ২৬ নিরীহ পর্যটকের মৃত্যুর পর থেকে ফুঁসছিল গোটা দেশ মঙ্গলবার মধ্যরাতে তারই প্রত্যাঘাতে পাকিস্তানের ঢুকে জবাব দিলে ভারত।পাক অধিকৃত কাশ্মীরে একের পর এক জঙ্গি ঘাটি ধ্বংস করা হয়েছে। মধ্যরাতে এই অভিযানের আগে সেনাবাহিনীর আরেকটি ভিডিও পোস্ট করেছিল। তাতে দেখা যায়, ভারতীয় জওয়ানরা যুদ্ধসজ্জায় তৈরি। সেই পোস্টের ক্যাপশনে লেখা হয়— “Ready to Strike, Trained to Win.”। তার পরই আঘাত হানল ভারত। হামলার লক্ষ্য ছিল একমাত্র জঙ্গি পরিকাঠামো। পাকিস্তানি সেনা ঘাঁটি এই অভিযানের আওতায় পড়েনি। এই স্ট্রাইক করে ভারতীয় সেনাবাহিনী লস্কর-ই-তইবার হেডকোয়ার্টার এবং কুখ্যাত জঙ্গিনেতা মাসুদ আজহারের মাদ্রাসা ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। মিসাইল হামলা চালিয়ে পিওকে-র মুজফফরাবাদ, পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বাহাওয়ালপুর ও আরও কয়েকটি অঞ্চলের জঙ্গিদের ডেরা ধ্বংস করা হয়েছে। রাতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে প্রতিরক্ষামন্ত্রী লেখেন, ‘ভারত মাতা কি জয়’।
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–