সুরের ভেলায় চেপে না ফেরার দেশে এস পি

৯-এর দশক। বলিউডে টিনএজ প্রেমের ছবির ছড়াছড়ি। সেরকম একটি ছবির হাত ধরেই আত্মপ্রকাশ সলমন খানের। তবে সলমনের কণ্ঠে ছবির গান শুনে মনে হয়েছিল যেন তিনিই গেয়েছেন। এই গায়কী বলিউডে খুব একটা পরিচিত নয়। ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’ ছবি মাধ্যমেই বলিউড চিনল দক্ষিণী ছবি বিখ্যাত গায়ক এস পি বালাসুব্রহ্মনিয়মকে। পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে কাজ করছেন এস পি। এই নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন সদাহাস্য মুখ দক্ষিণী মানুষটি।

১৯৪৬ সালে নেল্লোরের তেলুগু পরিবারে জন্ম তাঁর। কিন্তু গান বরাবরই প্রিয় বিষয়। ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়ার সময় বিভিন্ন সংগীত প্রতিযোগিতায় অংশ নিতেন। প্লেব্যাক গায়ক হিসেবে তাঁর প্রথম আত্মপ্রকাশ ১৯৬৬ সালে, তেলেগু ছবি ‘শ্রী শ্রী মর্যাদা রামান্না’ মাধ্যমে। তামিল, কন্নড়, মালয়ালম ছবিতেও প্লেব্যাক করেন এই কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী।

বলিউডে তাঁর সিনেমার তালিকায় রয়েছে ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’, ‘ক্রিমিনাল’, ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’, ‘রোজা’-র মতো ছবি। একসময় বলিউডে সলমন খানের লিপি তার গান জুটি হয়ে উঠেছিল। নয়ের দশকে সলমন খানের ‘মেয়নে প্যায়ার কিয়া’, ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’-র মতো সুপারহিট ছবিতে প্রতিটি গানে প্লে-ব্যাক করেন এস পি। গানের পাশাপাশি অভিনেতা হিসেবেও দর্শকদের মন জিতেছিলেন বালাসুব্রহ্মনিয়ম।
৪০,০০০ গান রেকর্ড করেছেন বালাসুব্রহ্মনিয়ম। হিন্দি তো বটেই, গেয়েছেন বাংলা, কন্নড়, তামিল, তেলুগু, মালয়ালম ভাষায়। সেরা গায়ক হিসেবে ৬টি জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন। বহুবার নন্দী অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। ২০০১ সালে সঙ্গীতে অবদানের জন্য ভারত সরকার তাঁকে পদ্মশ্রী এবং ২০১১ সালে পদ্মভূষণ সম্মানে সম্মানিত করে।

অতিমারি কালে করোনা গ্রাস করে তাঁকে। ৫ অগাস্ট ভর্তি হন হাসপাতালে। দেড় মাস লড়াইয়ের পরে হার মানেন এসপি।বৃহস্পতিবার, চেন্নাইয়ের হাসপাতাল জানিয়ে দেয়, তাঁর অবস্থা ‘এক্সট্রিমলি ক্রিটিকাল’। শুক্রবার, জানানো হয়, দুপুরে মারা গিয়েছেন তিনি। তাঁর ছেলে বলেন, অনুরাগীদের মনে আজীবন সঙ্গীতের মধ্যে দিয়েই বেঁচে থাকবেন বাবা। এসপি-র মৃত্যুতে গভীর শোকাহত সংগীতজগত।

আরও  পড়ুন-দেড় মাসের লড়াই শেষ, প্রয়াত এসপি বালাসুব্রহ্মনিয়ম

Previous articleলটারি জিতে কোটি টাকার মালিক হলেন ডোমজুড়ের দুধ বিক্রেতা
Next articleকরোনায় আক্রান্ত নাকি ফ্লু বা সর্দি-কাশি হয়েছে, ঋতু পরিবর্তনে বুঝবেন কীভাবে?