ভাইরাসমুক্তির পর বাধ্যতামূলক যক্ষ্মা পরীক্ষা, নির্দেশিকা জারি স্বাস্থ্য দফতরের

প্রতীকী ছবি।

মারণ ভাইরাস থাবা বসালে কমছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। আর সেই সুযোগে দেহে বাসা বাঁধছে অন্য রোগ। এই বিষয়ে আগেই সচেতন করেছিলেন চিকিৎসকরা। যেসব রোগ দেহে বাসা বাঁধতে পারে, তার মধ্যে আশঙ্কার প্রথম তালিকায় আছে যক্ষ্মা। এই অবস্থায় ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে ওঠাদের যক্ষ্মা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। রাজ্যের সব সরকারি-বেসরকারি কোভিড হাসপাতাল ও ল্যাবরেটরিকে নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্যভবন।

নির্দেশিকা জারি করে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসার ৭ থেকে ২১ দিনের মধ্যে যক্ষ্মা পরীক্ষা করতে হবে। সরকারি ব্যবস্থায় বিনামূল্যে এই পরীক্ষা করানো যাবে। স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, ভাইরাস এর নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পরেও অনেকের শুকনো কাশি বা অল্প পরিশ্রমে ক্লান্ত হওয়া বা ওজন কমার মতো উপসর্গ দেখা গিয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ভাইরাস থেকে সেরে ওঠার পর অন্তত ১৩২ জনের শরীরে যক্ষ্মার উপসর্গ দেখা গিয়েছে। বস্তিতে বসবাসকারী মানুষ এবং ইটভাটার শ্রমিকদের মধ্যে যক্ষ্মায় আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।

চিকিৎসকদের কথায়, ভাইরাসের উপসর্গ এবং যক্ষ্মা একসঙ্গে হলে তা চিহ্নিত করা প্রায় অসম্ভব। তাই ভাইরাস সংক্রমণ থেকে মুক্তি পেলেও যক্ষ্মা থেকেই যাচ্ছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডা. অজয় চক্রবর্তী বলেন, দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের প্রথম এই কর্মসূচি শুরু করা হলো। ভাইরাসে আক্রান্ত হলে যে কোন ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আগের থেকে অনেকটাই কমে যায়। এই সময় যক্ষ্মার মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। তাই পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হলো।

আরও পড়ুন : ইমেলে প্রতারণার ফাঁদ, গ্রাহকদের সতর্ক করল এসবিআই

 

Previous articleপ্রথম বলেই আউট ছিলেন পৃথ্বী, ধরতে পারেননি মাহি! ভুলের মাশুল গুনল সিএসকে
Next articleকরণের হাউস পার্টির ভিডিও প্রকাশ্যে, নিউজ চ্যানেলগুলিকে একহাত নিলেন জাভেদ