Sunday, August 24, 2025

অনুপম-মেননের সামনেই বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে রণক্ষেত্র বারুইপুর, সাংবাদিকদের কাজে বাধা

Date:

২০২১ সালে রাজ্যের কুর্শি দখল যখন বিজেপির অন্যতম মূল লক্ষ্য, ঠিক তখনই বারুইপুরে দক্ষিণ ২৪ পরগনা (পূর্ব) জেলা অফিস বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে। জেলার বিরোধী লবির কর্মী-সমর্থকরা কার্যত দফতরের অভ্যন্তরের আসবাবপত্র ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। বর্তমান জেলা সভাপতি হরিকৃষ্ণ দত্তের কক্ষটিও ভাঙচুর করা হয়। শুধু তাই নয়, নিজেদের মধ্যে মারামারিতে বেশ কয়েকজন আহত হয়। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা যাচ্ছে।

এবং এই গোটা ঘটনাই ঘটে বিজেপির জাতীয় নেতা অরবিন্দ মেনন, সদ্য-নিযুক্ত জাতীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা এবং রাজ্য বিজেপি সহ-সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীর চোখের সামনে। তাঁরা দুই পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করলেও কাজ হয়নি। মারমুখি বিজেপি কর্মীদের ছেড়েই অরবিন্দ মেনন-অমিতাভ চক্রবর্তী ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যান। ঘটনার ছবি তুললে সাংবাদিকদের উপর আক্রমণ করা হবে, ক্যামেরা-মোবাইল ভেঙে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেন বিক্ষুব্ধ শিবিরের বিজেপি কর্মীরা। বেশকিছু সংবাদ মাধ্যমের ফুটেজ ডিলিট করার চেষ্টা করে তারা।

আরও পড়ুন- উত্তরবঙ্গে টানা বৃষ্টি, আত্রেয়ী নদীতে বাড়ছে জলস্তর

বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীদের দাবি, বর্তমান জেলা সভাপতি হরিকৃষ্ণ দত্ত দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আদি ও প্রকৃত বিজেপি কর্মীদের অপমান-লাঞ্ছনা করে চলেছেন। তাঁদের পার্টি অফিসে ঢুকতে দেওয়া হয় না। টাকার বিনিময়ে পদ বিক্রি করছেন জেলা সভাপতি। যেখানে তৃণমূল ও সিপিএম থেকে আসা লোকেদের ভিড়। তৃণমূলের লোক দিয়েই বিজেপি কর্মীদের মারধর করেছেন, বাড়ি ভেঙে দিয়েছেন জেলা সভাপতি।

অন্যদিকে হরিকৃষ্ণ দত্ত অভিযোগ করেছেন, যারা আজ পার্টি অফিসে এসে হাঙ্গামা করেছে, ভাঙচুর করেছে, তারা বিজেপির পতাকাকে সামনে রেখে আসলে সমাজবিরোধীর দল। এদের বিজেপি করার কোনও অধিকার নেই। এদেরকে অরবিন্দ মেনন-অভিতাভ চক্রবর্তীরাও শান্ত করতে পারেননি। আলোচনায় টেবিলে বসার আগেই ভাঙচুর শুরু করে। মারধর করা হয় অফিসকর্মী থেকে শুরু করে মিটিংয়ে হাজির সকলকে। মহিলাদের গায়েও হাত তোলে এই বহিরাগতরা। মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়। এই ঘটনায় তাঁদের শিবিরের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। যাঁদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এদিকে, পার্টি অফিস ছেড়ে অনুপম হাজরা চলে যাওয়ার সময় রাস্তাতেই তাঁর গাড়ি আটকে স্লোগান দিতে থাকেন বিক্ষুব্ধ কর্মীরা। কোনওরকমে তাঁদের বুঝিয়ে এলাকা ছাড়েন অনুপম। অন্যদিকে, অরবিন্দ মেনন ও অমিতাভ চক্রবর্তীরা কার্যত “তাড়া” খেয়ে পার্টি অফিস থেকে বেরিয়ে নিজেদের গাড়িতে উঠে পড়েন।

আরও পড়ুন- বিরোধিতা সত্ত্বেও স্বাক্ষর রাষ্ট্রপতির, তৈরি হল নতুন কৃষি আইন

Related articles

পদ্মবিভীষণ! দেশের প্রয়াত অর্থমন্ত্রীকে চরম অশ্রদ্ধা বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রার

কতটা অশ্রদ্ধা থাকলে দেশের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা নিজের দলের জাতীয় নেতাকে একজন বিধায়ক সম্মান জানাতে গিয়েও নক্কারজনক শব্দ...

পথ দুর্ঘটনায় প্রয়াত জম্মু ও কাশ্মীরের ক্রিকেটার ফারিদ, সিসিটিভি ফুটেজ দেখেই হতবাক সকলে

পথ দুর্ঘটনাতে প্রয়াত জম্মু ও কাশ্মীরের(Jammu&Kashmir) ক্রিকেটার ফারিদ হুসেন(Frid Hussain)। তাঁর দুর্ঘটনার সিসিটিভ ফুটেজ প্রকাশ্যে আসতেই হৈচৈ পড়ে...

ভারতীয় ক্রিকেট দলের নতুন স্পনসর রিলায়েন্স না আদানি গোষ্ঠী !

সংসদে গেমিং প্ল্যাটফর্মগুলি নিষিদ্ধ হওয়ায় ভারতীয় দলের জার্সি থেকে সরছে ড্রিম ইলেভেনের (Dream 11) লোগো। কিন্তু এরপর কে?...

পণের দাবিতে স্ত্রীকে ‘খুন’, এনকাউন্টারে ধরা পড়েও আফশোষ নেই খুনি স্বামীর!

স্করপিও গাড়ি পেয়েও নিস্তার নেই। দেওয়া হয়েছে আরও একটি গাড়ি। দিতে হবে আরও ৩৬ লক্ষ। নয় বছর ধরে...
Exit mobile version