“রাজ্যে নৈরাজ্য ছাড়া কী চলছে?” ফের সরকারকে তীব্র আক্রমণ রাজ্যপালের

মুখ্যমন্ত্রীর চিঠির জবাবে সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শাণালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করে সাংবিধানিক দায়িত্ব মনে করান রাজ্যপাল। শুধু তাই নয়, রাজ্যকে হীরক রাজ্যের সঙ্গে তুলনা করে তিনি প্রশ্ন তোলেন, “রাজ্যে নৈরাজ্য ছাড়া কী চলছে?”

রাজ্যপালের মতে নজরদারি চলছে সব ক্ষেত্রে। ইলেকট্রনিক নজরদারি বাড়ছে রাজ্যে। বাণিজ্য সম্মেলন, গণ বণ্টন ব্যবস্থা নিয়ে তথ্য চেয়েও পাননি। মানুষ যাতে তথ্য জানতে না পারে, সেজন্য উপেক্ষা করা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী কোনও প্রশ্নেরই জবাব দেন না বলে অভিযোগ করেন রাজ্যপাল। “মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালের প্রশ্নের জবাব দেন না, কোথায় আমরা যাচ্ছি।”

“ক্ষমতার অলিন্দে হার্মাদদের অনুপ্রবেশ বন্ধ করুন” বলে মন্তব্য করেন ধনকড়। পুলিশ নিজের ভূমিকা পালন করতে পারছে না। তিনি বলেন, গণতন্ত্র ও পুলিশ-রাজ একসঙ্গে চলতে পারে না। সরকার পুলিশের উপর নির্ভরশীল, এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।

ডিজিপি-র বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন জগদীপ ধনকড়। এর আগেও টুইটে বীরেন্দ্রের বিরুদ্ধে ‘অসম্মানজনক’ মন্তব্য করেছিলেন বলে অভিযোগ। তার জবাবে ৯ পাতার চিঠি পাঠান মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার, সাংবাদিক বৈঠকেও বীরেন বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, ডিজির এত ঔদ্ধত্য, বিশ্বাস করা যাচ্ছে না। ধনকড়ের অভিযোগ, রাজ্য পুলিশের ডিজি এত দায়িত্বজ্ঞানহীন হতে পারেন কী করে? ডিজিকে আড়াল করার চেষ্টার মধ্যেই স্পষ্ট।

এরপরেই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের পুলিশ হেনস্থা করছে বলে অভিযোগ। বিরোধীদের উপর আক্রমণ, সিন্ডিকেট রাজ চলছে।

রাজ্যপালের ভূমিকা কী হবে, বলা আছে সংবিধানে। ভারতীয় সংবিধানে কেউ সর্বশক্তিমান নয় বলে মন্তব্য করে রাজ্যপাল বলেন, সংবিধানে সবপক্ষের সমতা বজায় রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, “আমি কারও কোনও রাবার স্ট্যাম্প নই। আমি আমার এক্তিয়ারের সীমা কখনও পার করিনি”।
কিন্তু বারবার সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে রাজ্যপালের তীব্র সমালোচনা নিয়ে তুমুল আলোচনা রাজ্য রাজনীতিতে।

আরও পড়ুন-রাজ্য বিজেপিতে দিলীপ ঘোষদের চাপে রাখতে কৌশলী চাল মুকুল রায় শিবিরের

Previous articleমিমির সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা ট্যাক্সি চালকের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট পেশ পুলিশের
Next articleল্যাপটপে খবর পড়ছেন ‘ঠাম্মা’, ছবি শেয়ার করলেন নাতি