মাদক কাণ্ডে করণের নাম জড়ালে মিলবে ছাড়। এনসিবি-র বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করলেন ক্ষিতিজ প্রসাদের আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডের। মাদকযোগের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ক্ষিতিজ প্রসাদ। করণ জোহরের ধর্মা প্রোডাকশনের প্রাক্তন এক্সিকিউটিভ প্রডিউসার ৩ অক্টোবর পর্যন্ত এনসিবি-র হেফাজতে থাকবে। রবিবার একথা জানিয়েছে বোম্বে হাইকোর্ট।
তবে এনসিবি হেফাজতে যাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তদন্তকারী আধিকারিকদের একাংশের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনেছেন ক্ষিতিজ। তাঁর আইনিজীবী সতীশ মানশিন্ডে এনসিবির কর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। রবিবার বোম্বে হাই কোর্টে জানিয়েছেন, ক্ষিতিজকে হেনস্থা করা হয়েছে। ভয় দেখানো হয়েছে। সেই সঙ্গে ক্ষিতিজকে বলা হয়েছে তিনি যেন করণ জোহর এবং ধর্মা প্রোডাকশনের সঙ্গে যুক্ত কয়েকজনের নামে দোষ চাপিয়ে দেন।
আইনিজীবী মানশিন্ডে বলেন, “এনসিবি আধিকারিকরা বলেছেন যদি ক্ষিতিজ বলেন যে করণ জোহর, সোমেল মিশ্র, রাখি, অপূর্ব, নীরজ কিংবা রাহিল এরা সবাই মাদক সেবন করেন তাহলে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে। কিন্তু ক্ষিতিজ এঁদের কাউকেই ব্যক্তিগতভাবে চেনেন না। তাই এনসিবি-র কথা শুনে এই মিথ্যে তিনি বলেননি।” নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর তদন্তকারী আধিকারিক সমীর ওয়াখান্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন ক্ষিতিজ প্রসাদের আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডে। এনসিবির ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি। মানশিন্ডে আদালতে দাবি করেন, ‘‘ক্ষিতিজকে ওয়াখান্ডে বলেছেন সহযোগিতা না করলে উচিত শিক্ষা দেওয়া হবে। তাঁকে চেয়ারের পাশে মেঝেতে বসতেও বাধ্য করেন। সেই সময় অন্য তদন্তকারীরা হাসছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবারই মাদকযোগের তদন্ত করতে সমন পাঠানো হয় ধর্মা প্রোডাকশনের এক্সিকিউটিভ প্রোডিউসার ক্ষিতীশ রবি প্রসাদকে। শুক্রবার সকালে তাঁর বাড়িতে হানা দেয় এনসিবির টিম। বাড়িতে তল্লাশি শেষে ক্ষিতিজকে আটক করে এনসিবি। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর আধিকারিকরা তাঁকে এনসিবি দফতরে নিয়ে যান। রাতভর জিজ্ঞাবাদের পর শনিবার গ্রেফতার করা হয় ক্ষিতিজকে। এনসিবি সূত্রে খবর, জেরায় ৪ জন অভিনেতা এবং ২ জন প্রযোজকের নাম উল্লেখ করেছেন ক্ষিতিজ। মাদক পাচারকারীদের সঙ্গেও যোগাযোগ আছে ক্ষিতিজের। রবিবার তাঁকে আদালতে পেশ করা হলে ৯ দিনের জন্য এনসিবি হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:সুশান্ত মৃত্যুর তদন্ত জারি আছে, বিবৃতি দিয়ে জানাল সিবিআই