দক্ষিণ ভারতের একাধিক রাজ্যে সক্রিয় হয়ে উঠছে ইসমালিক স্টেট জঙ্গি গোষ্ঠী। ভারতে আল-হিন্দ নামে কাজ শুরু করেছে তারা। ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি তথা এনআইএ জানিয়েছে, কর্নাটক, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ ও কেরলের জঙ্গলে তারা নিজেদের ডেরা তৈরির কাজ শুরু করেছে।

এনআইএ জানিয়েছে, গত কয়েকবছরে দক্ষিণ ভারতে ইসলামিক স্টেট সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ২০১৯ সালের একটি মামলায় এই মডিউলের ১৭ সদস্যের বিরুদ্ধে চার্জশিটে এই দাবি করেছে এনআইএ। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে ও ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে আল-হিন্দ দলের ১৭ সদস্যকে গ্রেফতার করে এনআইএ। জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন দক্ষিণ ভারতের গভীর জঙ্গলের মধ্যে লুকিয়ে ছিল এই জঙ্গিরা। জঙ্গলে বেঁচে থাকার জন্য জঙ্গলদস্যু বীরাপ্পানের বেশ কিছু বই পড়ত তারা। বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা মেহবুব পাশা ও কুদ্দালোরের বাসিন্দা খাজা মইদিনের নেতৃত্বে গোপন ডেরায় কাজকর্ম শুরু করে জঙ্গিরা।

এনআইএ- এর পেশ করা চার্জশিটে বলা হয়েছে, প্রশিক্ষণের জন্য গত বছর নভেম্বর মাসে মেহবুব পাশা ৪ জনকে নিয়ে শিবানাসমুদ্র এলাকায় জঙ্গলের মধ্যে একটি জায়গা চিহ্নিত করে। সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে দেশের প্রথম ইসলামিক স্টেট প্রদেশ তৈরির পরিকল্পনা করে জঙ্গিরা। অন্যদিকে, খাজা মইদিনের নির্দেশে আল-হিন্দ সদস্যরা তাঁবু, রেনকোট, স্লিপিং ব্যাগ, দড়ি, মই, পুলি, তীর, ধনুক, জঙ্গলের জুতো, ছুরি, অস্ত্র ও গোলাবারুদের ব্যবস্থা করে বলে উল্লেখ করেছে এনআইএ। কর্নাটকের কোলার, কোডাগু, গুজরাতের জাম্বুসার, মহারাষ্ট্রের রত্নাগিরি, অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্তুর, পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান ও শিলিগুড়িতে ডেরা চিহ্নিতও করেছিল জঙ্গিরা। তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, রাজনৈতিক নেতা, প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্তা, পুলিশ আধিকারিক ও সেলিব্রিটিদের টার্গেট করেছিল আল-হিন্দ।

দিল্লি, কর্নাটক, তামিলনাড়ু ও কেরলে আল-হিন্দের খোঁজ শুরু করে এনআইএ। তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, ২০১৪ সালে তামিলনাড়ুর এক হিন্দু সংগঠনের নেতা কেপি সুরেশ কুমারকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হয় মইদিন। কিন্তু ২০১৯ সালে জামিনে ছাড়া পায় সে। এরপর পাশার সঙ্গে যৌথভাবে নতুন মডিউল তৈরি করে সে। জানা গিয়েছে, খাজা মইদিন তার কুদ্দালোরের জমি বিক্রি করে জঙ্গলে থাকা ও প্রশিক্ষণের সামগ্রী কেনার জন্য ৫ লাখ টাকা দিয়েছিল। আল-হিন্দের সদস্যরা তাইকোণ্ডো, কুং ফু শিখত।
আরও পড়ুন:কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন কে এন গোবিন্দাচার্য
