কোভিড রুখতে মানবদেহে ব্যবহার হবে অ্যান্টিসেরাম! জানাচ্ছে আইসিএমআর

করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরিতে এগিয়ে রয়েছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রতিষেধক ‘কোভিশিল্ড’। চলছে চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়াল’। ভারত বায়োটেক, ক্যাডিলা এবং সেরাম ইনস্টিটিউটের তিনটি ভ্যাকসিনের পরীক্ষার দিকেই অধীর আগ্রহে তাকিয়ে দেশবাসী। এরইমধ্যে আইসিএমআর-এর একটি তথ্য চমকে দিচ্ছে। কোভিড- কে নির্মূল করতে অ্যান্টিসেরাম ব্যবহার করা হবে? যেমন টিটেনাস মানুষের দেহে প্রবেশ করিয়ে প্রতিষেধক অ্যান্টিবডি তৈরি করা হয়। আথবা সাপে কামড়ানো রোগীকে ‘অ্যান্টিস্নেক ভেনম’ দেওয়া হয়।

আইসিএমআর জানাচ্ছে, আগে থেকে তৈরি করা করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক আক্রান্ত মানবদেহে প্রবেশ করিয়ে রোগকে প্রতিহত করার কথা। আইসিএমআর-এর তথ্য অনুযায়ী, পরিস্রুত অ্যান্টিসেরাম যদি কোভিড আক্রান্তের শরীরে প্রবেশ করানো যায় তবে ভাইরাসের বিরুদ্ধে সহজেই লড়তে পারে মানবদেহ। মানব শরীরে যে অ্যান্টিবডি থাকে তা আরও বেশি শক্তিশালী হয় ‌। যা অনেকটা প্লাজমা থেরাপির মতো। কেন্দ্রীয় সংস্থা সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন এই ধরনের প্রতিষেধক তৈরি করতে অনুমতি দিয়েছে।

আরও পড়ুন- হাথরাস, গোয়ার প্রভাব কি এবার বিহারের ভোটব্যাঙ্কে? চিন্তায় নীতিশ কুমার

তবে এই প্রতিষেধক তৈরি গবেষণার ফল কী হবে তা জানতে বেশ কিছুটা সময় লাগবে। শুরু হয়ে গিয়েছে উৎপাদনও। ঠিক যেভাবে জলাতঙ্ক, হেপাটাইটিস বি অথবা টিটেনাস, বা ডিপথেরিয়ার ভ্যাকসিন তৈরি হয়। একই পদ্ধতি অবলম্বন মেনে তৈরি হতে চলেছে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন।