রাজ্য মন্ত্রিসভায় ফের করোনার হানা। এবার মারণ ভাইরাসের কবলে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তাঁকে শিলিগুড়ির এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে মন্ত্রী স্থিতিশীল বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

গতকাল, শনিবার সিটি স্ক্যানে চিকিৎসকরা রবীন্দ্রনাথ ঘোষের বুকে সংক্রমণ লক্ষ্য করেন। কোনওরকম ঝুঁকি না নিয়ে তাঁর লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। আর সেই রিপোর্ট-এ কোভিড পজিটিভ ধরা পড়ে।

জানা গিয়েছে, মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের পরিবারের ৭ জনের শরীরে করোনার উপসর্গ থাকায় এর আগেও তাঁর দু-বার করোনা টেস্ট করানো হয়েছিল। দু’বারই রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল। এরপর, সম্প্রতি তাঁর রক্তে শর্করা বেড়েছিল। ক্রিয়েটিনিনের মাত্রাও বেশি ছিল। যার জেরে শিলিগুড়িতে চেকআপে করাতে আসেন রবীন্দ্রনাথবাবু। তারপরই করোনা ধরা পড়ে মন্ত্রীর।

প্রসঙ্গত, মাস কয়েক আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। লকডাউনের মধ্যেই এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে তাঁকে চিকিৎসার জন্য কলকাতা নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বেশ কিছু চিকিৎসাধীন থাকার পর সুস্থ হয়ে জেলায় ফেরেন। এরপর বিভিন্ন জায়গায় ত্রাণ বিলি, সাংগঠনিক কাজেও নেমে পড়েন তিনি। এবার করোনা থাবা দিলো তাঁর শরীরে।

উল্লেখ্য, তৃণমূলের করোনায় আক্রান্ত মন্ত্রী-বিধায়কের তালিকাটা বেশ বড়। রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু আগেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তৃণমূলের প্রবীণ নেতা, হাওড়া শিবপুর কেন্দ্রের বিধায়ক জটু লাহিড়িও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। এখন তিনি সুস্থ। রাজ্যের আর এক মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীও করোনা সংক্রমণের শিকার। আক্রান্ত হয়েছিলেন খলিলুর রহমানও। আর বৃহস্পতিবারই করোনা আক্রান্ত হয়ে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রাজ্যের পরিষদীয় প্রতিমন্ত্রী তাপস রায়।

আরও পড়ুন-রাস্তা উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, পালিয়ে বাঁচলেন তৃণমূল বিধায়ক
