বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যর ন্যক্কারজনক পদক্ষেপ। হাথরাসে গণধর্ষণ করে খুন হওয়া তরুণীর ভিডিও ট্যুইট করেছেন তিনি। গণধর্ষিতার পরিচয় তিনি কোন আক্কেলে প্রকাশ্যে আনেন? জাতীয় মহিলা কমিশন এই ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক বলে দায় সেরেছে। রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, যে বিজেপি সরকার সামান্য কার্টুন বা ছবির জন্য অভিযুক্তকে রেয়াত করে না, সেই বিজেপির আইটি সেলের প্রধান কাণ্ডজ্ঞানহীন কাজ করার পর কেন তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না?
জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন এই ঘটনার পর জানিয়েছেন, ধর্ষিতার নাম ও ছবি ট্যুইট করা বেআইনি ও নীতি বহির্ভূত। এটা অপরাধ। এরজন্য ২ বছরের শাস্তি হতে পারে। তাহলে তিনি ব্যবস্থা নিচ্ছেন না কেন? কোথায় আটকাচ্ছে? কেন্দ্রের সরকারি দলের নেতা বলে বাধা? আর উত্তরপ্রদেশ মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন ভিমলা বাথনের এখনও ওই ভিডিওটি দেখার সুযোগই হয়নি! যদি দেখেন, এবং মনে হয়, তাহলে নোটিশ পাঠাবেন।
৪৮ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটি পোস্ট করে অমিত প্ররোচনামূলক বার্তা দেন। লিখেছিলেন, নির্যাতিতা আলিগড় হাসপাতালের সামনে বলেছিলেন, অভিযুক্তরা তার ঘাড়ের উপর উঠে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করেছিল। এতে অপরাধের গুরুত্ব কমেনি, কিন্তু রঙ চড়ানো হচ্ছে। অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনা করার প্রয়োজন আছে। নির্যাতিতা বা তার মা যখন এটাকে একবারের জন্য ধর্ষণ বলেনি, রিপোর্টেও নেই, তাহলে কেন ভিডিওটি দেওয়া যাবে না বা এটিকে যৌন নিগ্রহের তকমা দেওয়া হবে? কিন্তু এটি নিয়ে শোরগোল শুরু হওয়ার পরেই ভিডিও সরিয়ে দিয়ে সেখানে নির্যাতিতার ফরন্সিক রিপোর্ট তুলে দেওয়া হয়েছে। অমিত এই কথা বললেও মৃত্যুর আগে নির্যাতিতা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছিলেন, ১৪ সেপ্টেম্বর তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। এই পোস্টের পরেও জাতীয় মহিলা কমিশন দেখছি-দেখব করছে। এখনও পর্যন্ত ন্যূনতম পদক্ষেপ করা হয়নি। সরকারি দল বলে কি আইন-কানুন শিকেয়?
আরও পড়ুন-নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে হাথরাসে সমাজবাদী পার্টির প্রতিনিধি দল