যোগী সরকারের আসল রূপ প্রকাশ্যে। একদিকে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ। অন্যদিকে গ্রামে পঞ্চায়েত বসিয়ে প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক আইন এবং তদন্তকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বলে দিলেন, পুলিশ যাদের গ্রেফতার করেছে তারা বেকসুর। তাদের ছেড়ে দেওয়া হোক।

রবিবার সকালে হাথরাস থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে বসন্তবাগ এলাকায় পঞ্চায়েতের বৈঠক বসে। বিজেপির প্রাক্তন বিধায়ক রাজবীর পহেলওয়ানের বাড়ির সামনের মাঠে স্বর্ণ সমাজের লোকজন একাট্টা হয়। তাদের সাফ কথা, যে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা নির্দোষ। যোগীর সিবিআই তদন্তের সমর্থন জানিয়েছেন তারা।
এই খবর আসার পরেই নিহত নির্যাতিতার ভাই ভয়ে তটস্থ। তাঁর বক্তব্য, ১২টা গ্রামের উচ্চবর্ণের লোকজন এক হয়েছে। আমরা এবার ভয় পেয়েছি। প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা চাইছি। আজ মিডিয়া আছে। কাল যখন কেউ থাকবে না, তখন কী হবে? তবে বাল্মীকি পরিবারের সকলেই বলছেন, জেলা শাসককে সরাতেই হবে। তিনি এই ঘটনার পাণ্ডা। সকলে চলে গেলে ডিএম আমাদের মেরে ফেলবে!

আরও পড়ুন- বিধানসভা ভোটে জোট নয়, নীতীশের বিরুদ্ধে প্রার্থী, সঙ্কট বাড়াল পাশোয়ানরা

দেখার বিষয়, বাল্মীকি পরিবারের পাশে দাঁড়াতে বহু দূর থেকে মানুষ আসছেন। আসছেন দিল্লি থেকেও। এদিন ফের এসআইটি টিম আসে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। কিন্তু সিবিআই দায়িত্ব নেওয়ার পরেও কেন সিট সে নিয়ে প্রশ্ন সকলের। এদিন ভিম আর্মি চন্দ্রশেখর আজাদ বাল্মিকী পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তাদের নিরাপত্তার দাবি জানান।
