১৪ বছরের মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা। সেই রাগে মেয়েকে খুন করলেন বাবা। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরের দুলহাপুর গ্রামের সিদহৌলি এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, নদীর তীর থেকে ওই কিশোরীর দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

পুলিশ আধিকারিক এস এস আনন্দ বলেন, ‘‘মঙ্গলবার সিদহৌলি এলাকার দুলহাপুর গ্রামে স্থানীয়রা নদীর তীরে ভেসে থাকতে দেখে। এরপরই পুলিশকে খবর দেয় তাঁরা। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। তদন্তে দেখা যায় ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল।’’

পুলিশ সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদে কিশোরীর বাবা জানিয়েছে কয়েকমাস আগে তাঁর মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে। পরিবারের সম্মানের কথা ভেবে সেই সময় পুলিশে অভিযোগ দায়ে করা হয়নি। কিন্তু পরবর্তীকালে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে পুরো এলাকায় খবরটি রটে যায়। পরিবারকে অসম্মান, বিদ্রুপ করা হয়। এরপরই মেয়েকে মারধর শুরু করেন বাবা। বাবাকে ‘সহযোগিতা’ এগিয়ে যায় কিশোরীর বড় ভাই। শেষমেষ শ্বাসরোধ করে কিশোরীকে হত্যা করা হয়।

শুধু খুন করাই নয়, প্রমাণ লুকানোর ব্যবস্থাও করেছিল বাবা ও ছেলে। পুলিশ জানিয়েছে, কিশোরীর মুণ্ডুচ্ছেদ করে স্থানীয় একটি নদীর তীরে ফেলে দেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদে খুনের কথা স্বীকার করেছে কিশোরীর বাবা। তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে কিশোরীর বড় ভাই এখনও পলাতক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। একইসঙ্গে কে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেছিল, তার তদন্তও শুরু করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন:দেশ জুড়ে ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘ভুয়ো’ তালিকাভুক্ত করল ইউজিসি
