Monday, May 5, 2025

লজ্জা! মোদি’র আমলে সরকারি কাজে à§§à§«à§® দেশের মধ্যে ভারত ১৪১ তম, বলছে OXFAM

Date:

‘অভিনন্দনযোগ্য’ কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর সরকারের৷

Oxfam-র এক রিপোর্ট বলেছে, সরকারি কাজকর্মের ক্ষেত্রে ভারতের দক্ষতা এবং সদিচ্ছা তলানিতে৷ ১৫৮ দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ১৪১ নম্বরে৷ এই রিপোর্ট স্বচ্ছ করে দিয়েছে মোদি সরকারের আসল ছবি।মোদির পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে৷ বলা হচ্ছে, এমন সরকার থাকা বা না-থাকা দুই-ই সমান৷ নরেন্দ্র মোদি সরকারকে এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে সব বিষয়েই যখন গালভরা সাফল্যের দাবি করে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি, তখনই রিপোর্ট বলছে, সরকারি নীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক সুরক্ষা, কর-ব্যবস্থা, শ্রমিক অধিকার, সব মিলিয়ে ভারত ১২৯ তম স্থানে। স্বাস্থ্যখাতে সরকারের খরচের নিরিখে ভারত শেষের দিক থেকে ৪ নম্বরে রয়েছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, ৭০ শতাংশ মানুষই চিকিৎসা খরচ নিজেরাই দেন।

এখানেই শেষ নয়৷ লজ্জার আরও বাকি আছে৷

ভারতের শ্রমিকশ্রেণির অধিকার নিয়েও Oxfam বড়মাপের প্রশ্ন তুলেছে৷ রিপোর্টে উল্লেখ করা দু’টি ক্ষেত্রেই বিশ্বে ভারতের পক্ষে মর্যাদাহানিকর৷

‘Oxfam’ সেই সব মানুষের একটি বৈশ্বিক আন্দোলন, যারা একযোগে দারিদ্র্যকে পরাজিত করতে বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে। যে সব প্রক্রিয়া বা পদ্ধতি মানুষকে আরও দরিদ্র করে তোলে, তার মোকাবিলা করে এই Oxfam সংস্থা à§·

আরও পড়ুন- বাড়িতে গিয়ে প্রয়াত সোমেন মিত্রের স্ত্রী-পুত্রের সঙ্গে দেখা করলেন অধীর

ভারতের পক্ষে লজ্জাজনক ওই Oxfam- রিপোর্ট বলছে, শ্রমিক অধিকার রক্ষায় ভারতের স্থান একেবারে তলার দিকে৷ ১৫৮টি দেশের মধ্যে ভারত দাঁড়িয়ে আছে à§§à§«à§§ তম স্থানে। তলানিতে ঠেকে যাওয়া দেশের অর্থনীতিকে ‘উন্নত’ করতে মোদি সরকার সম্প্রতি দেশের শ্রম আইনে আমূল বদল এনেছে ফাঁকা সংসদে শ্রমবিধি সংশোধনী পাস করিয়ে৷ কৃষি আইন নিয়ে সারা দেশজুড়ে এখনও আন্দোলনে কৃষকরা।
ঠিক সেই সময়ে রিপোর্ট প্রকাশ করে Oxfam ভারতে শ্রমিক অধিকার নিয়ে লজ্জায় ফেলেছে৷ মহামারি এবং লকডাউনের জেরে দেশজুড়ে কর্মহীন হয়েছেন বহু কোটি মানুষ।
এবার বিশ্বস্তরে নগ্ন হয়ে গেলো মোদির শাসনে ভারতের ছবি৷

আরও পড়ুন- পুজো করুন, দুর্গোৎসব বন্ধ রাখুন! বঙ্গবাসীকে আবেদন দিলীপের

Oxfam-এর “বৈষম্য দূরীকরণ সংকল্প সূচক” বা ‘Commitment to Reducing Inequality Index’ রিপোর্ট অনুযায়ী, আগের ১৪১তম স্থান থেকে আরও দশ ধাপ পিছিয়ে গিয়েছে ভারত। ১৫৮টি দেশের মধ্যে শেষমেশ ভারত এসে ঠেকেছে à§§à§«à§§ নম্বরে। আর এই পরিসংখ্যানই বলছে, বিশ্বের নিরিখে শ্রমিক অধিকার রক্ষায় ঠিক কতখানি কাজ করেছেন নরেন্দ্র মোদি৷

প্রসঙ্গত, গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ- সহ বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলি করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই শ্রম আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে । এর প্রতিবাদে ধর্মঘটের ডাক দেয় ইনটাক, সিটু, এআইটিইউসি-র মতো কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠন ও ফেডারেশন। অভিযোগ ওঠে, মহামারি পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন রাজ্যের বিজেপি সরকার শ্রম আইনগুলোয় হাত দিচ্ছে, যা বেআইনি। এরই মাঝে কেন্দ্রীয় শ্রম আইনে নতুন বিধি যোগ করে মালিকপক্ষকে সুবিধা দিতে নতুন আইনও পাস হয়েছে। শ্রম আইনের ৪৪টি বিধি কমিয়ে ৪ করা হয়েছে৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মালিকপক্ষকে বাড়তি সুবিধা দেওয়া হয়েছে৷

আরও পড়ুন- লিপস্টিক নষ্ট হোক, তবু কী নিদান দিলেন শ্রাবন্তী!

Oxfam-এর এই রিপোর্ট নরেন্দ্র মোদির সামগ্রিক গ্রহণযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলো।

Related articles

টুটুকে নিয়ে মিলল না সমাধান, ফের হবে বৈঠক

টুটু বোসের(Tutu Bose) পদত্যাগ গ্রহনের সিদ্ধান্ত ঝুলেই রইল। সোমবারের বৈঠকেও মিলল না সমাধান। পরের সপ্তাহে ফের মোহনবাগানের(Mohunbagan) কার্যকরী...

সিনেমায় কোপ! ট্রাম্পের নতুন ঘোষণায় চিন্তায় ভারতের প্রযোজকরা

ট্রাম্পের শুল্কের বন্যায় অস্থির বিশ্ব। চিনের উপর আবার অতিরিক্ত শুল্ক। এবার বিনোদন ক্ষেত্রকেও চড়া শুল্কের আওতায় আনলেন মার্কিন...

শীঘ্রই শুরু দ্বিতীয় হুগলি সেতুর সংস্কারের দ্বিতীয় পর্বের কাজ

কলকাতা ও হাওড়ার অন্যতম সংযোগকারী দ্বিতীয় হুগলি সেতুর সংস্কারের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শীঘ্রই শুরু হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই প্রথম...

প্রত্যেক রাজ্য-কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে ব্ল্যাক আউট করে মক ড্রিল করানোর নির্দেশ কেন্দ্রের

পঞ্জাবের মতো সব রাজ্যে (State) ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ব্ল্যাক আউট (Blackout) করে মক ড্রিল (Mock Drill) করানোর নির্দেশ...
Exit mobile version