শরীর খারাপ! কৈলাশ-মুকুলের মঞ্চেই গেলেন না দিলীপ

কথা ছিল ঝাড়্গ্রামের সভায় থাকবেন রাজ্যের সব নেতারা। লক্ষ্য ছিল, রাজ্য বিজেপি যে ঐক্যবদ্ধ তার চিত্রটা তুলে ধরা। কিন্তু এই অনুষ্ঠানের যিনি মধ্যমণি, সেই দিলীপ ঘোষই নেই। সৌজন্যে শরীর খারাপ। সে নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।

কৈলাশ শিবিরের বিরুদ্ধে বিজেপিতে অভিযোগ ছিল, শুধু মুকুল-মুকুল করেন তাঁরা। তাঁর বৃত্ত বলতে মুকুল আর তার সাঙ্গ-পাঙ্গরা। সেই বৃত্তের বাইরেও কৈলাশ কেন্দ্রীয় নেতা হিসাবে যে সমানভাবে গ্রহনযোগ্য, তা প্রমাণ করতে ঝাড়্গ্রামের সভার আয়োজন। থাকার কথা ছিল রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের, থাকার কথা ছিল রাহুল সিনহারও। রাহুল সিনহা ‘আহত’ ও অবসৃত। আর দিলীপ ঘোষ অসুস্থ। রোদে-জলে পুড়ে দিলীপ অসুস্থ তো বটেই। কিন্তু এতখানি কী অসুস্থ, যে কারণে এমন গুরুত্বপূর্ণ সভায় উপস্থিত থাকলেন না! বিজেপির অন্দরমহলের হাল-হকিকতের খবর যারা রাখেন, তাঁরা বলছেন, অসুস্থ তো একটা অজুহাত মাত্র, তাকে সামনে রেখেই দিলীপ তাঁর ‘নারাজগি’ কার্যত বুঝিয়ে দিলেন। বুঝিয়ে দিলেন দিল্লির নেতাদের নাটকের কুশীলব তিনি হতে পারবেন না। একদিকে তাঁকে কোনঠাসা করা হবে, অন্যদিকে তাঁকে ডেকে ঐক্য-ঐক্য খেলা হবে, এটা চলতে পারে না।

আশ্চর্যের বিষয় হলো, মঙ্গলবার ঝাড়গ্রামের সভায় যাদের দেখা গেল, তারা প্রায় সকলেই নব্য বিজেপি কিংবা দলবদলু কিংবা মুকুল রায়ের সহচর বলে পরিচিত। ঐক্যবদ্ধ বিজেপি দেখাতে গিয়ে আসলে কৈলাশ কী দেখানোর ‘ফন্দি’ করেছিলেন, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল দুপুরের ঝাড়্গ্রাম।

আরও পড়ুন-তৃণমূলের মিছিল থেকে বারাকপুর অঞ্চলকে বাহুবলী মুক্ত করে শান্তি ফেরানোর বার্তা

Previous articleতৃণমূলের মিছিল থেকে বারাকপুর অঞ্চলকে বাহুবলী মুক্ত করে শান্তি ফেরানোর বার্তা
Next articleধর্ষণ একটা পাশবিকতা, আর ধর্ষকরা পশু: শেখ হাসিনা