ধর্ষণ একটা পাশবিকতা, আর ধর্ষকরা পশু: শেখ হাসিনা

খায়রুল আলম, ঢাকা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ধর্ষণ একটা পাশবিকতা, আর ধর্ষকরা পশু। যার ফলে মেয়েরা আজকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সে জন্য আইন সংশোধন করে ধর্ষণের শাস্তি যাবজ্জীবনের সঙ্গে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে মন্ত্রিসভায় আইন পাস করা হয়েছে।

মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস দিবস ২০২০ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এদিকে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে সংশোধিত ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০’ অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০০০’ জারি করেন। আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ থেকে অধ্যাদেশটি জারি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে ওই অধ্যাদেশে সই করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। গতকাল সোমবার ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০০০’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।


নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন অনুযায়ী, ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি ছিল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। দেশজুড়ে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনবিরোধী আন্দোলন এবং ধর্ষণকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করার দাবির মধ্যে সরকার এ পদক্ষেপ নিল।

২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) উপধারায় বলা হয়, ‘যদি কোনো পুরুষ কোনো নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করেন, তা হলে তিনি যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন এবং এর অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হবেন।’

ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, এসিড নিক্ষেপকে আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। কারণ সেখানে আমরা আইন সংশোধন করেছিলাম। এসিড সন্ত্রাসের মতো ধর্ষণ নামের পাশবিকতা নিয়ন্ত্রণেই সরকার আইন সংশোধন করে ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান যুক্ত করেছে। যেহেতু পার্লামেন্ট সেশনে নেই, তাই আমরা এক্ষেত্রে অধ্যাদেশ জারি করে দিচ্ছি। যেকোনো একটা সমস্যা দেখা দিলে সেটাকে মোকাবিলা করা এবং দূর করাই আমাদের লক্ষ্য এবং সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

আরও পড়ুন- তৃণমূলের মিছিল থেকে বারাকপুর অঞ্চলকে বাহুবলী মুক্ত করে শান্তি ফেরানোর বার্তা

তিনি বলেন, করোনাভাইরাস আরেকটি দুর্যোগ। কারণ আমরা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করি, আমাদের মনুষ্য সৃষ্ট দুর্যোগও মোকাবিলা করতে হয়। এর আগে আপনারা বিএনপি-জামায়াত জোটের সেই অগ্নিসন্ত্রাস দেখেছেন। জীবন্ত মানুষকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছিল। সেটাও কিন্তু আমরা মোকাবিলা করেছি। পাশাপাশি এসিড নিক্ষেপ সেটাকেও আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। সেখানেও আমরা আইন সংশোধন করেছিলাম।

Previous articleশরীর খারাপ! কৈলাশ-মুকুলের মঞ্চেই গেলেন না দিলীপ
Next articleচাপে পড়ে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিল মণীশ, প্রকৃত অপরাধীরা সামনে আসবেই: ফিরহাদ