কেউ কথা রাখেনি, আর চিরাগ পাসোয়ান যে রাখবেন না, এ আর নতুন কথা কী। বিহারের কুর্সি দখলে এবার বিজেপির বিরুদ্ধেই প্রার্থী দিলেন এলজেপি প্রধান।

প্রথম দফার ভোটে ভাগলপুর, রাঘোপুর ও রোসড়া এই তিন কেন্দ্রেই এনডিএ শরিক হিসেবে লড়ছে বিজেপি। তাদের সমর্থন করছে জেডিইউ। আর এই তিন আসনেই প্রার্থী দিল এলজেপি।


বিধানসভা কেন্দ্র বণ্টন নিয়ে অখুশি ও মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের প্রতি তীব্র ক্ষোভ রয়েছে চিরাগের। কিন্তু এনডিএ-এর তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, নীতীশ কুমারের নেতৃত্ব মানতেই হবে চিরাগদের। এই কারণে এনডিএ শিবির ত্যাগ করে এলজেপি। তবে জানিয়েছিলেন, বিজেপির বিরুদ্ধে ভোটের ময়দানে নামবেন না।

কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল অন্য চিত্র। ভোটের ময়দানে বিজেপির বিরুদ্ধেই প্রার্থী দিল এলজেপি। শুধু তাই নয়, দুর্নীতি ও বিদ্রোহের কারণে বিজেপি এবং জেডিইউ বিতাড়িত ২৪ জন নেতা, প্রাক্তন মন্ত্রী, বিধায়ককে সাদরে দলে টেনেছেন চিরাগ পাসোয়ান। এতে বিজেপির সঙ্গে সম্পর্কে আরও চিড় ধরে। ফল স্বরূপ বিজেপির বিরুদ্ধে প্রার্থী দিলেন চিরাগ।


ভোটের শক্তিতে এলজেপি বিহারের তেমন শক্তিশালী রাজনৈতিক দশ নয়। প্রয়াত রাম বিলাস পাসোয়ানের ইউপিএ ও এনডিএ সরকারের মধ্যে আসা যাওয়া, একাধিকবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় যাওয়া হয়েছিল চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে। তবে চিরাগ পাসোয়ান এই চমক তাঁর দলকে ভোটের রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক করে তুলছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।

আরও পড়ুন-ভোটের মুখে ১৫ নেতাকে জেডিইউ থেকে তাড়ালেন নীতীশ
