ভোটের মুখে ১৫ নেতাকে জেডিইউ থেকে তাড়ালেন নীতীশ

বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট ২৮ অক্টোবর। তার আগেই জেডিইউ থেকে বহিষ্কৃত ১৫ জন নেতা। দলবিরোধী কাজের অভিযোগে এদের বহিষ্কার করলেন দলের প্রধান নীতীশ কুমার। নির্বাচনের মুখে রাজনৈতিক ঝুঁকি নিয়েও সাহসী পদক্ষেপ মুখ্যমন্ত্রীর। তবে এর পর এই নেতারা বিদ্রোহী চিরাগ পাশওয়ানের এলজেপিতে ভেড়েন নাকি তেজস্বী যাদবের মহাজোটে শামিল হন তাই এখন দেখার। এর আগে রাজ্য বিজেপিও
দলের আটজন বিদ্রোহীকে বহিষ্কার করেছিল। তারপর তাঁরা চিরাগ পাশওয়ানের এলজেপিতে নাম লেখান। নীতীশের কট্টর বিরোধিতার স্বার্থে জেডিইউ থেকে বহিষ্কৃতদের এবার এলজেপি টিকিট দেয় কিনা দেখতে হবে। তবে রাজ্য বিজেপির অন্যতম নেতা তথা উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমার মোদি বলেছেন, বিহারে এনডিএ-র শরিক কেবল বিজেপি, জেডিইউ, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতনরাম মাঝির এইচএএম এবং মুকেশ সাহানির ভিআইপি। যদি আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করি তবে নীতীশ কুমারই মুখ্যমন্ত্রী হবেন। এবিষয়ে কোথাও কোনও বিভ্রান্তি নেই।

জেডিইউ থেকে দলবিরোধী কাজের অভিযোগে ছয় বছরের জন্য দল থেকে বরখাস্ত হওয়া নেতাদের মধ্যে রয়েছেন একজন বর্তমান বিধায়ক, প্রাক্তন সাংসদ এবং জেলার প্রাক্তন সভাপতি।
১৫ জন প্রবীণ আঞ্চলিক নেতার বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নীতীশের পক্ষে বুমেরাং হবে কিনা তা দেখার। এমনিতেই বিহারে এনডিএ থেকে এলজেপি বেরিয়ে আসার পরে জনতা দল ইউনাইটেড ২৪৩টি বিধানসভা আসনের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্মুখীন হবে। ফলে ভোটের মুখে ১৫ জন প্রবীণ আঞ্চলিক নেতার বহিষ্কার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।

জেডিইউ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দলবিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য ১৫ জন নেতাকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ছয় বছরের জন্য বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দল থেকে বহিষ্কৃতদের মধ্যে রয়েছেন বিধায়ক দাদন সিং যাদব, প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী রামেশ্বর পাশওয়ান ও ভগবান সিং কুশওয়াহা এবং প্রাক্তন বিধায়ক রণবিজয় সিং।

আরও পড়ুন-বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেলেন কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী-পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি

Previous articleআরও বিপাকে অর্জুন সিংয়ের ভাইপো, বাড়ি থেকে মিলল গুরুত্বপূর্ণ নথি
Next articleদুর্গোৎসবের গাইড ম্যাপ প্রকাশ শুভেন্দুর, সভা থেকে প্রশংসা মুখ্যমন্ত্রীর