বিপ্লব মিত্রকে কেন ডাকা হচ্ছে না? ক্ষুব্ধ অভিষেকের কড়া নির্দেশ

দলে ফিরে এসেছেন বিপ্লব মিত্র। কিন্তু তাঁকে কেন ব্যবহার করা হচ্ছে না? এখন থেকে সব বৈঠক থেকে কর্মসূচিতে তাঁকে ডাকতে হবে। উত্তরবঙ্গে দলীয় বৈঠকে বসে কড়া নির্দেশ তৃণমূল যুব সভাপতি সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

উত্তরবঙ্গে বিপ্লব মিত্র শুধু জনপ্রিয় নন, সংঠনও একসময় গড়ে তোলেন। তারপর দল ছেড়ে বিজেপিতে গেলেও মন পড়েছিল তৃণমূলে। দল তাঁকে সসম্মানে ফিরিয়ে নেয়। তা সত্ত্বেও তাঁকে সব কর্মসূচিতে ডাকা হতো না। দক্ষিণ দিনাজপুরকে নিয়ে অভিষেক-পিকের মঙ্গলবারের বৈঠকে ছিলেন জেলা সভাপিতি গৌতম দাস, চেয়ারম্যান শঙ্কর চক্রবর্তী, মন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা। অভিষেক ও পিকে সোমবার থেকে উত্তরবঙ্গে বৈঠক করছেন। দক্ষিণ দিনাজপুরে দলের এই ঝগড়াঝাটিতে রুষ্ট। বিপ্লবকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দেন। বৈঠকের পরে সমস্যা যে অনেকটাই মিটেছে, তা নেতাদের কথায় স্পষ্ট। বাচ্চু ও গৌতম বলেন, ১৯-২০ বছর ধরে বিপ্লব কাজ করেছেন। তাঁর গুরুত্ব অপরিসীম।

তবে এক্ষেত্রে একটাই অসুবিধা, তা হলো বিপ্লবের পদ। সভায় তাঁকে কীভাবে এখন পরিচিত করা হবে? কারণ, দীর্ঘদিন জেলা সভাপতি থাকা বিপ্লবকে সাধারণ কর্মী হিসাবে পরিচিত করানো অসুবিধার। একটি সূত্রে খবর, এই অসুবিধার কথা মেনে নিয়েছেন অভিষেকও। ফলে শীঘ্র তাঁকে সম্মানীয় কোনও পদে ফিরিয়ে দিয়ে কাজের সুবিধা করে দেওয়া হবে।

উত্তরবঙ্গে অভিষেক-পিকের জুটির টানা দুদিন ধরে বৈঠকে দল অনেকটাই চাঙ্গা। বিজেপি যে উত্তরবঙ্গকে টার্গেট করেছে, সে কথা মাথায় রেখে দলের ভেদাভেদ মুছে দিতে বদ্ধপরিকর। এখন শুধু সামনের দিকে তাকাতে চাইছেন নেতৃত্ব।

Previous articleউত্তরবঙ্গে আসছেন অমিত, প্রস্তুতি নিতে সায়ন্তন যাচ্ছেন শিলিগুড়ি
Next articleএটিএম থেকে বেরোচ্ছে না টাকা, অথচ অ্যাকাউন্ট ফাঁকা, চুরির অভিনবত্বে তাজ্জব প্রশাসন