Thursday, August 28, 2025

 

সঞ্জয় সোম

একজন সদস্য হিসেবে বিজেপির রাজ্যনেতৃত্বের একটি অংশের কাছে খোলাখুলি এই প্রশ্নগুলো রাখছি, কেউ দয়া করে ব্যক্তি আক্রমণ করে নিজেদের দেউলিয়াপনা এবং চাটুকারিতার প্রবৃত্তি জনসমক্ষে জাহির করবেন না।

প্রথম কথা, একটা রাজনৈতিক দল দুর্গাপূজা বা কোনোরকমের পন্থীয় আচার পালন করবে কেন? দলের সংবিধান কি তার অনুমতি দেয়? এগুলো তো সামাজিক তথা ধর্মীয় সংগঠনের কাজ।

দ্বিতীয় কথা, সর্বত্র দূর্গাপুজো পাড়ার ক্লাবগুলো করে থাকে এবং এমনকি মধ্যমেধার নেতাদেরও অন্তত নিজের পাড়ার ক্লাবের ওপর কিছুটা নিয়ন্ত্রণ থাকে। সেক্ষেত্রে ইজেডসিসি ভাড়া করে পুজো করা মানে চারদিকে এই বার্তাই রটে যাচ্ছে যে যে বিজেপির নেতারা এই পুজোর উদ্যোক্তা তাদের নিজেদের পাড়ার ক্লাবের ওপরে ন্যূনতম নিয়ন্ত্রণটুকুও নেই।

আরও পড়ুন- বাড়বে সংক্রমণ, বিদেশ থেকে তরল অক্সিজেন আনছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক

তৃতীয় কথা, যতদূর জানা যাচ্ছে, এই পুজোতে বিজেপি রাজ্য সভাপতির সম্মতি নেই এবং কিছু ছিন্নমূল নেতা এসব করে নিজেদের কদর বাড়াতে চাইছেন। কিন্তু প্যান্ডেমিকের মধ্যে, যেখানে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের মতন ঐতিহ্যবাহী পুজোয় জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে, সেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কোভিড সংক্রান্ত নির্দেশ অগ্রাহ্য করে একটি মঞ্চ ভাড়া করে পুজো এবং আনুষঙ্গিক জলসা করার যৌক্তিকতা কোথায়?

আরও পড়ুন- চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস, সরকারি কর্মীদের বেতন থেকে কেটে ১৫৭ কোটি টাকা PM CARES-এ

চতুর্থ কথা, একটি সরকারি মঞ্চ ভাড়া করে দলের একটি অংশকে নিয়ে দিনকয়েক বদ্ধ হলঘরের মধ্যে হৈ হৈ করে কি আগামী নির্বাচনে দলের সম্মিলিত শক্তিকে জনসমক্ষে জাহির করা যাবে? এতে দলীয় কার্যক্রমে কি পাব্লিক পার্টিসিপেশন বা জনসংযোগ বাড়বে?

আরও পড়ুন- বীরভূমের কর্মিসভা থেকে একের পর এক প্রার্থীর নাম ঘোষণা অনুব্রতর

পঞ্চম ও শেষ কথা, দূর্গাপুজো একবার শুরু করলে পরপর অন্ততঃ তিনবছর একই কাঠামোয় করতে হয়। এটাই বঙ্গীয় লোকাচার। যদি ধরে নিই যে এটা বিজেপির পুজো নয়, বিজেপির কয়েকজন নেতার ব্যক্তিগত উদ্যোগে আয়োজিত পুজো, তাহলে সেটা তাঁদের বাড়িতে না করে সরকারি সম্পত্তি ভাড়া করে কেন করা হচ্ছে, যেখানে আগামী দুই বছর স্থান পাওয়া যাবে কিনা তার কোনো স্থিরতা নেই? ইজেডসিসি কতৃপক্ষ কি কোনো মুচলেকা লিখে দিয়েছেন? দিলে কাকে দিয়েছেন, দলকে না কোনো নেতাকে?

 

Related articles

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...

সুখবর! পুজোর আগে পার্ট টাইম কর্মীদের বেতন বাড়াল রাজ্য 

পুজোর আগে রাজ্যের আংশিক সময়ের কর্মীদের জন্য বড় সুখবর দিল নবান্ন। বিভিন্ন দফতর ও সরকার অধীনস্থ সংস্থায় কর্মরত...
Exit mobile version