পর্যটনমন্ত্রীর পাশাপাশি এবার সঙ্গীত শিল্পী গৌতম, প্রকাশ্যে প্রথম অ্যালবামের টিজার

ছেলেবেলা থেকে কখনও গান শেখেননি তিনি। গানের সঙ্গে সম্পর্ক বলতে বাকিদের যেমনটা থাকে তেমনি, রেডিওতে শোনা আর গুনগুন। তবে ইচ্ছেটা সম্প্রতি চেপে বসেছিল মন্ত্রী মশাইয়ের। টুকটাক গানও শিখতে শুরু করেন তিনি। প্রচুর কাজের চাপের মাঝেই চলতে থাকে ‘সা-রে-গা-মা-পা’-র শিক্ষা। যার জেরেই এবার একেবারে শিরোনামে উঠে এলেন গৌতম দেব। তবে রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী হিসেবে নয়, এক্কেবারে সংগীতশিল্পী হিসেবে। পুজোর মুখে প্রকাশিত হতে চলেছে তাঁর সংগীত অ্যালবাম। যেখানে বিশিষ্ট অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের কথায় গান গেয়েছেন গৌতম দেব। রবিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে এ খবর প্রকাশ্যে আনলেন খোদ গৌতমবাবু।

রবিবার বিকেলে শিলিগুড়িতে পর্যটন দফতরের অতিথি নিবাদ মৈনাকে এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। সেখানেই তাঁর গান ও কথার অ্যালবামের টিজারের উদ্বোধন করা হল এ দিন। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এদিন গৌতম বাবু বলেন, ‘গত বছর নভেম্বর থেকে শুরুটা করি তারপর নানা কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে আর হয়ে ওঠেনি। লকডাউনের পর ফের শুরু করলাম। আমি সারেগামাপা জানি না। গানের সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম বিষয় সম্পর্কে আমি সম্পূর্ণ অজ্ঞ। তবে সপ্তাহে একদিন শিক্ষক আসতেন গানগুলোকে তুলতে তিনি সাহায্য করতেন আমায়।’

তবে কি মন্ত্রীর পাশাপাশি এবার পুরোদমে সঙ্গীত দুনিয়ায় পা রাখতে চলেছে গৌতম বাবু? এ প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে কিছুটা যেন লজ্জিত হয়ে পড়লেন তিনি। বলেন, ‘এটা গায়ক হিসেবে উত্তরন নয়। এটা নিজের আত্মতৃপ্তি, মানসিক শান্তি। ৪৫ বছর একটা জীবনে থেকেছি সেখান থেকে বেরিয়ে একটা নতুন কিছুর স্বাদ নেওয়া। আর কিছু নয়’।

আরও পড়ুন: সংক্রমণ বাড়ছে, পুজো নিয়ে মুখ্যসচিবের জরুরি বৈঠক সোমবার, কঠোর পদক্ষেপের ইঙ্গিত

তবে শুধু সংগীতশিল্পী নন, গোপনে লেখালেখির কাজটাও চালিয়ে যাচ্ছেন রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী। সে কথাও ফাঁস হয়ে গেল এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে। জানা গেল, নিশ্চুপে নিজের আত্মজীবনী লিখছেন রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী। সাংবাদিক বৈঠকে সে তথ্য উঠে আসতেই গৌতম বাবু বলেন, ‘আত্মজীবনী লেখার ধৃষ্টতা আমার নেই। আমি তেমন ব্যক্তিত্ব নই। তবে নিজের জীবন নিয়ে একটা কিছু লেখার চেষ্টা করছি সেখানে সব হয়ত বলতে পারব না। কারণ প্রতিটা মানুষের জীবনে কিছু কালো অধ্যায় থাকে। যতটা সম্ভব তুলে ধরার চেষ্টা করব। আমি ডায়েরি লিখি না। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে অনেক কিছুই স্মৃতি থেকে হারিয়ে গিয়েছে। তবে চেষ্টা করছি। সমস্তটাই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।’

Previous articleআলোকসজ্জায় সচেতনতা, শহরের দুর্গোৎসবে করোনা যোদ্ধাদের স্যালুট চন্দননগরের
Next articleমধ্যবর্তী নয়, ফ্রেশ নির্বাচন চায় বিএনপি