দিল্লি কালীবাড়িতে নিয়ম-রক্ষার পুজো, অঞ্জলি অনলাইনে

অনেক টালবাহানার পর শেষ পর্যন্ত দিল্লিতে বারোয়ারি দুর্গাপুজো করার অনুমতি দিয়েছে কেজরিওয়াল সরকার। সেখানেও রয়েছে নানা বিধিনিষেধের বেড়া। তবে প্রথম থেকে যে পুজোকে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, তাহলে দিল্লি কালীবাড়ির পুজো। ভোগ-প্রসাদ নয়, বড় মণ্ডপ বা প্রতিমা নয়, কোনও স্টল নয় কিংবা অনুষ্ঠান তো নয়ই। এবার শুধু পুজোর আনুষ্ঠানিকতাটুকু সম্পূর্ণ করা।

দিল্লির এক টুকরো বাঙালি এলাকা চিত্তরঞ্জন পার্কে কালীবাড়িতে এ ভাবেই দুর্গাপুজো হবে এ বার। বাংলা থেকে চোদ্দোশো কিলোমিটার দূরের প্রবাসে অতিমারি ছিনিয়ে নিয়েছে পুজোর রং, রূপ, গন্ধ।

তার চেয়েও বড় কথা, শুধু এক দিন। কয়েক ঘণ্টার জন্য পুজো। উপস্থিত থাকবেন খুব বেশি হলে পনেরোজন। কোনও দর্শনার্থীর ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে না। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, ক্যামেরা লাগিয়ে অনলাইনে অঞ্জলি দেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে। সেই মতো ব্যবস্থা নিয়েছেন উদ্যোক্তারা। ইতিমধ্যেই প্রতিমা এসে গিয়েছে। তবে বোধন হয়নি বলে সে প্রতিমা কাপড়ে ঢাকা। আর চারিদিকে শুধু ব্যারিকেড। এমনভাবে গার্ডওয়াল দেওয়া হয়েছে যাতে কোনোভাবেই একসঙ্গে বেশি লোক ঢুকতে না পারেন, সামাজিক দূরত্ব বিধি লঙ্ঘিত হয়।

প্রথমে দিল্লি সরকার বলেছিল, শুধুমাত্র কালীবাড়িতে বারোয়ারি পুজো করা যাবে। বাকি আর কোথাও দুর্গাপুজো হবে না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কয়েকটি পুজোকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে সেখানেও থাকছে না ঢাকের বোল, পুজো মণ্ডপে আড্ডা, একসঙ্গে ভোগ খাওয়ার আনন্দ। বাংলা থেকে বহুদূরে এক খন্ড বাংলাকে বাঁচিয়ে রাখার প্রচেষ্টায় যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, তাও এবার হবে না। এখন শুধুই নিয়ম-রক্ষার পুজো আর তার সঙ্গে বিধিনিষেধের কড়া নজরদারি- এই ভাবেই প্রস্তুতি নিয়েছে রাজধানী।

আরও পড়ুন-‘জন্ম আমার মিথিলায়’, মধুবনী শিল্পে সেজেছেন দেবী দুর্গা

Previous articleভারত-ইংল্যান্ড গোলাপি টেস্ট হবে মোতেরায়, জানালেন সৌরভ
Next articleগুগলের বিরুদ্ধে বড়সড় মামলা ট্রাম্প প্রশাসনের! কিন্তু কেন?