বোধনে মেতেছে বাংলা। আর মহাষষ্ঠীর শুরুতেই বিশেষজ্ঞ আর চিকিৎসকদের সচেতনতা মূলক আবেদন আপামর পুজো আয়োজকদের কাছে। যা দরকারি এবং প্রয়োজনীয় বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

কী সেই আবেদন? প্রত্যেক পুজোতেই তা সে বাড়ির বা বারোয়ারি পুজো হোক, থাকছেন পুরোহিত সহ জনা পাঁচেকের টিম। এই টিমের প্রত্যেকের কোভিড টেস্ট বাধ্যতামূলক করতে আবেদন করা হয়েছে চিকিৎসক সহ বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের যুক্তি, পুরোহিত এবং তাঁদের সহযোগীরা চরণামৃত থেকে শুরু করে ভোগ রান্না করা, ফল কাটা, প্রসাদ, মিষ্টি বিতরণ সবই এঁদের হাত দিয়ে হচ্ছে। ফলে এঁদের মাধ্যমে কোভিড সংক্রমণের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তাই পুজো শুরুর মুখে এই সাবধানতা পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে থাকা সকলের জন্যই প্রয়োজন।


বৃহস্পতিবার সকালেই কলকাতার একটি বনেদি বাড়ির পুজোয় যে ঘটনা ঘটেছে তা চিকিৎসক আর বিশেষজ্ঞদের এই অনুমানকে আরও বিশ্বাসযোগ্য করে তুলেছে। ওই বনেদি বাড়ির পুজোয় পুরোহিত সহ সাতজন ছিলেন। বাড়ির অন্য সদস্যরা এই টিমের কোভিড টেস্ট নিয়ে উদাসীন হলেও বাড়ির কর্তা ছিলেন নাছোড়বান্দা। শেষে কোভিড টেস্ট হওয়ার পর সেই সাতজনের মধ্যে তিনজনের কোভিড পজিটিভ হয়। ফলে দ্রুত সেই টিমে বদল এবং বিকল্প টিমকে ডাকতে হয়। যার দরুন পুজো শুরু হতেও দেরি হয়। কিন্তু ব্যাপক সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন ওই বনেদি বাড়ির সকলে।

ঠিক এই জায়গা থেকেই চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞ মহলের আবেদন পুরোহিত এবং তাঁর সঙ্গে আসা সকলের কোভিড টেস্ট করুন। পুজোর ভিড়ে সংক্রমণ রুখতে এটি অন্যতম হাতিয়ার হতে পারে। ভেবে দেখুন উদ্যোক্তারা।


