ষষ্ঠীতে চমক: বারাসতের রায়চৌধুরী বাড়ির পুজো উদ্বোধনে মোদি

ষষ্ঠীর সকালে বারাসাতে পুজো উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যদিও সশরীরে নয়। ভার্চুয়াল মাধ্যমে বারাসত পুরসভার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে নিশীথ রায়চৌধুরীর বাড়ির পুজোর উদ্বোধন করবেন তিনি।

নিশীথ রায়চৌধুরী রামকৃষ্ণ মিশন থেকে প্রকাশিত উদ্বোধন পত্রিকার লেখক। আবার টেলিকম বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার তিনি। তাঁর কথায়, “আমি রামকৃষ্ণ এবং বিবেকানন্দের ভক্ত। প্রধানমন্ত্রীও তাঁদের আদর্শ করেছেন। চাকরি জীবনে অপটিক্যাল ফাইবার বিছিয়ে ছিলাম। তার সাহায্যে আসে ইন্টারনেট দিয়েই এবার পুজোর উদ্বোধন করবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী।”

২৩০ বছর আগে তাঁদের সত্যম পুরুষ সর্বেশ্বর রায় বাংলাদেশের ফরিদপুরে এই পুজো শুরু করেন। নিশীথ রায়চৌধুরী জানান, বাংলাদেশে এখন ভাটদি বাবু বাড়ির পুজো হিসেবে সবাই জানে। দেশভাগের পর ১৯৫৪ সালে নিশীথ রায়চৌধুরী সহ কয়েকজন বংশধর এপার বাংলায় চলে আসেন। নিশীথ রায়চৌধুরী টেলিকম বিভাগে চাকরি পাওয়ার পর ১৯৯২ সালে ফের শুরু হয় দেবীর আরাধনা।

মহামারির জেরে পুজোর আড়ম্বর কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিবার এবং নিকট আত্মীয়দের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে এ বছরের পুজো। কিন্তু এই কঠিন সময়ে চমকে দেওয়ার মতো খবর দেন পাড়ার কয়েকজন। প্রধানমন্ত্রী রায়চৌধুরী বাড়ির পুজোর উদ্বোধন করবেন। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে পুজোর উদ্বোধন এই প্রথম। তাও আবার দেশের প্রধানমন্ত্রীর হাতে।

ইতিমধ্যেই দিল্লি থেকে টেকনিক্যাল টিম পৌঁছে গিয়েছে বারাসতের বাড়িতে। ভার্চুয়াল উদ্বোধনের ট্রায়াল রান হয়ে গিয়েছে। সব মিলিয়ে উচ্ছ্বসিত রায়চৌধুরী পরিবারের সদস্যরা। বাড়ির সদস্যরা নাওয়া খাওয়া ভুলতে বসেছেন। বাড়ির অন্যতম সদস্য সুপর্ণা গঙ্গোপাধ্যায় জানান, অত্যন্ত ছোট করে পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। কিন্তু সেই পুজোই দেখবেন প্রধানমন্ত্রী সহ সারাদেশ। তাই আলপনা দিয়ে সাজানো হচ্ছে গোটা বাড়ি।

আরও পড়ুন:ইছামতীতে এবার হবে না দুই বাংলার বিসর্জন

Previous articleইছামতীতে এবার হবে না দুই বাংলার বিসর্জন
Next articleকরোনা আবহে অঞ্জলি হবে ‘নিউ নরমাল’, বন্ধ সিঁদুরখেলা