Sunday, August 24, 2025

বরাত নেই। শুধু দেওয়াল জুড়ে আছে ছৌয়ের মুখোশ। করোনার কোপ পড়েছে পুরুলিয়ার চড়িদাতে। যা মুখোশের গ্রাম বলেই পরিচিত। কবে এই মহামারি কাটবে, সেই দিন গুনছে চড়িদা।

বাঘমুণ্ডি থেকে ৩ কিলোমিটারের দূরত্ব। অযোধ্যার কোলে ওই গ্রামে শ’খানেক পরিবারের বাস। বংশ পরম্পরায় মুখোশ বানান চড়িদার শিল্পীরা। মূলত ছৌ-নাচের মুখোশ। জরি-চুমকি দিয়ে মুখোশ বানান তাঁরা। সেই মুখোশেই মুখ ঢাকে ছৌ শিল্পীদের। পর্যটকদের অন্যতম পছন্দের জায়গা চড়িদা। চড়িদার তৈরি মুখোশ কিনে অনেকেই ঘর সাজান। কিন্তু শিল্পীদের দু’ চোখে এখন অন্ধকার। করোনা সংক্রমণের জেরে বন্ধ ব্যবসা। লকডাউনের পর থেকেই পর্যটকদের দেখা নেই। ফলে বিক্রিও বন্ধ। প্রতিবছর পুজোর সময় কলকাতার বেশ কিছু পুজো কমিটি বরাত দেয়। মণ্ডপ সজ্জায় ফুটে ওঠে শিল্পীদের কারুকার্য। এবছর তাও হয়নি। এদিকে মাথার উপর ঋণের বোঝা। কীভাবে মহাজনের টাকা মেটাবেন তা ভেবেই কূল করতে পারছেন না শিল্পীরা।

তবে শুধু দুর্গাপুজো নয়, গাজনের সময়ও এই মুখোশের বেশ কদর। জটাজুটো ভোলানাথ, নন্দী-ভৃঙ্গি, সেজে ওঠেন অনেকে। কিন্তু কী আগামী চৈত্রতে? সেই প্রশ্নও বারবার ঘুরেফিরে আসছে। পরিমল দত্ত, রাজু সূত্রধরদের আয় বলতে প্রায় শূন্য। গত কয়েকমাসে কাজ বন্ধ হয়নি। তবে বন্ধ হয়েছে বিক্রি। মা দুর্গার মুখোশ আঁকতে আঁকতে দীর্ঘশ্বাস ফেলছেন শিল্পীরা। তাঁদের কথায়, ‘‘করোনা সংক্রমণের এবং লকডাউনের জন্য আয় কিছুই হয়নি। এদিকে মহাজন অনেক টাকা পান। কীভাবে টাকা মেটাব জানি না।’’

আরও পড়ুন:পাড়ায় পাড়ায়: বিধি মেনে নিয়ম রক্ষার পুজো বিদ্যাসাগর পার্ক মহিলাবৃন্দের

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...
Exit mobile version