‘বৃহত্তম দেউলিয়া’ প্রমোদ মিত্তাল, যিনি মেয়ের বিয়েতে ৫০৫ কোটি টাকা ব্যয় করেছিলেন

লক্ষ্মী মিত্তালের ভাই প্রমোদ মিত্তালকে লন্ডন হাইকোর্ট দেউলিয়া ঘোষণা করেছে। কারণ তার বাবা, স্ত্রী, ছেলে এবং শ্যালকসহ বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে ২ বিলিয়ন ডলার ঋণী রয়েছেন তিনি। মিত্তাল রাজবংশের বংশধর প্রমোদ মিত্তাল এখন ২,৫৪৯,০৮৯,৩৭০ পাউন্ড ঋণে ডুবে রয়েছেন। তাঁর ভাই লক্ষ্মী মিত্তাল, ইস্পাত ম্যাগনেট আর্সিলার মিত্তালের সিইও হলেন যুক্তরাজ্য, ভারতে এবং বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি। মিত্তালরা তাঁদের ব্যবসা প্রথমে ভারতে শুরু করেন। পরে বেশ কয়েকটি জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। আর্সিলারমিত্তাল-এর সদর দফতর নেদারল্যান্ডসে।

২০১৩ সালে, প্রমোদ মিত্তাল একটি ডাচ বংশোদ্ভূত বিনিয়োগ ব্যাঙ্কার গুলরাজ বেহলের সঙ্গে তাঁর মেয়ে সৃষ্ঠির বিয়ের জন্য ৫০ মিলিয়ন অর্থাৎ ৫০৫ কোটি টাকা ব্যয় করার খবর পাওয়া গিয়েছিল।

এক সংবাদমাধ্যমকে প্রমোদ মিত্তাল বলেছিলেন, “আমার কাছে মাত্র à§§.১০ লক্ষ পাউন্ড সম্পদ রয়েছে। আর মাত্র ৪৫ পাউন্ডের জমি রয়েছে। আমার ব্যক্তিগত আয় নেই। আমার স্ত্রী আমার থেকে আর্থিকভাবে স্বাধীন। আমাদের আলাদা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এবং আমার তাঁর আয় সম্পর্কে খুব সীমাবদ্ধ তথ্য রয়েছে। আমার ব্যক্তিগত ব্যয় প্রতি মাসে প্রায় ২ হাজার পাউন্ড থেকে à§© হাজার পাউন্ড মূলত আমার স্ত্রী এবং পরিবার পরিপূর্ণ করে। আমার দেউলিয়া হওয়ার আইনী ব্যয় অন্য তৃতীয় পক্ষ পূরণ করছে।”

২০০৬ সালে প্রমোদ গ্লোবাল ইস্পাত কোকসনা ইন্ডাস্ট্রিজ লুকাভ্যাক নামে বসনিয়ান কোক প্রযোজকের ঋণের গ্যারান্টারে হন। যা থেকে তার পতন শুরু করে। সংস্থাটি ১৬৬ মিলিয়ন ডলার ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়েছিল। এরপর ২০১৯ সালে তাঁকে বসনিয়াতে জালিয়াতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য গ্রেফতার করা হয়েছিল।

ভারতে প্রমোদ স্টেট ট্রেডিং কর্পোরেশনের কাছে ২২০০ কোটি টাকার অর্থপাচারের অভিযোগে তদন্তের মুখোমুখি হচ্ছে।

আরও পড়ুন-‘মোদি পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রণাম করেন, কিন্তু সাহায্য নয়’, বিহারে সরব রাহুল