পুজো ঘিরে উন্মাদনা থাকবে, সেটা স্বাভাবিক। কিন্তু এবার বিশেষ পরিস্থিতির মাঝে যেভাবে পুজো হচ্ছে তাতে উৎসবের আমেজ কিন্তু রাস্তায় নেমে আসেনি। ফলে পুজোর ভিড় নিয়ে যে একটা আতঙ্কের পরিবেশের কথা অনুমান করেছিলেন চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞ মহল, রাজ্য এবং পুলিশের লাগাতর প্রচারে সেই উৎসাহ বাঁধনছাড়া হয়নি। স্পষ্ট নিয়ন্ত্রণ চোখে পড়েছে।

কেউ কেউ কোর্টের রায়কে কৃতিত্ব দিচ্ছেন। বলছেন এভাবে টাইট না দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকত না। কিন্তু একটা কথা পরিষ্কার, কোর্টের রায় অনুঘটকের কাজ করেছে, এটা যেমন সঠিক কথা, তেমনি এবার বড় পুজোর উদ্যোক্তারাও ভিড় টানার প্রতিযোগিতায় নামেননি। পুজোর জেরে কোভিড সংক্রমণ বাড়তে পারে, নিরন্তর প্রচারে মানুষ আর উদ্যোক্তা দুই তরফেই সাবধানতা ছিল।

তবে সবচেয়ে কাজ করেছে চিকিৎসক মহলের প্রচার। তাঁরা বারবার পুজো নিয়ে সাবধান করেছেন মানুষকে। সন্তোষ মিত্র স্ক্যোয়ারের দর্শকবিহীন পুজোকে প্রোমোট করেছেন। ডাঃ কুণাল সরকার সহ বিশিষ্ট চিকিৎসকরা পাশে দাঁড়িয়ে উৎসাহ দিয়েছেন।

আর পুলিশি নিয়ন্ত্রণও চোখে পড়ছে যথেষ্ট। কোনওরকম বাড়াবাড়িকে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে না। গ্রাম বাংলায় রাতে ঘুরে ঘুরে বেআইনি প্যান্ডেল ভাঙা হয়েছে। ফলে উদ্যোক্তাদেরও বেড়ে খেলার প্রবণতা দমে গিয়েছে।
আখেরে লাভ হয়েছে মানুষের। এই বিধি নিষেধের বেড়িতে কোভিড সংক্রমণ যদি নিয়ন্ত্রণে থাকে, তাহলে আখেরে লাভ তো মানুষেরই।

আরও পড়ুন:সাগর দত্ত ঠাকুর বাড়িতে মা পূজিত হন ‘অভয়ারূপে’
