Monday, August 25, 2025

‘দুদিনের যোগী, ভাতেরে কয় অন্ন!’ সৌমিত্র খাঁয়ের বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি পদ থেকে ‘বেসরকারি পদত্যাগ’-এর জেরে মুখ খুলেছেন মুকুল রায়ের ছায়া সঙ্গী শঙ্কুদেব পণ্ডা। যুবর সমস্যা মেটাতে রাজ্য সভাপতির কী করা উচিত ছিল তারও পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি! যা দেখেশুনে দলের নেতারা বলছেন এতো সাহস হয় কী করে শঙ্কুদেবের? দলের সভাপতির কী করা উচিত সেটা ও বলে দেবে। দু’দিনের যোগী, ভাতেরে কয় অন্ন!

সৌমিত্র এদিন সকাল ৯টা ৪মিনিটে ‘বিজেওয়াইএম ওয়েস্টবেঙ্গল অফিসিয়াল গ্রুপ’- থেকে ক্যুইট করেন। তার আগে তিনি লেখেন, ” শুভ মহাষ্টমী। সকলে ভাল থাকবেন। আপনাদের খুবই সহযোগিতা পেয়েছি। আমি চাই বিজেপিকে সরকারে আনতেই হবে। তাই হয়তো আমার অনেক ভুল ছিল যাতে দলের অনেক ক্ষতি হচ্ছিল। তাই আমি ইস্তফা দেব আর সকলে ভাল থাকবেন। যুব মোর্চা জিন্দাবাদ, বিজেপি জিন্দাবাদ, মোদিজি জিন্দাবাদ।”

আর এই বক্তব্যের পরেই ২৪ ঘন্টা আগে দলের পদ পাওয়া শঙ্কুদেব তাঁর সভাপতির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। একটি মহলের খবর শঙ্কু নাকি বলেছেন, সৌমিত্র অপরিণত রাজনীতি করছেন। সামনে ভোট। তাই দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখা তাঁর কাজ। জেলা কমিটি তৈরিতে তাঁর নাকি আরও যত্নবান হওয়া উচিত ছিল। পুরনোদের আরও মর্যাদা দেওয়া উচিত ছিল! কে বলছেন? যে কিনা ২৪ ঘন্টাও হয়নি যুব মোর্চায় এসেছেন? শঙ্কুর এই কথায় ব্যাপক চটেছেন দলের নেতারা। তাঁরা বলছেন, সমস্যা মেটানোর চাইতে দলে সমস্যা বাড়াতে চাইছেন এই নব্য বিজেপি নেতা।

এখানেই থেমে গেলে এক ব্যাপার হতো। শঙ্কু এরপর রাজ্য বিজেপি সভাপতির কর্মপদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি নাকি বলেছেন, সমস্যা অন্যভাবেও মেটানো যেত। দলের ভিতরে বসেই কথা বলা যেত। যুব মোর্চার সব জেলা কমিটি ভেঙে দিয়ে যুব রাজ্য সভাপতিকে দিলীপদা অস্বস্তিতে ফেলে দিলেন! এই বক্তব্যে বেজায় চটেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। দিলীপ শিবির দলের কেন্দ্রীয় নেতার ছায়াসঙ্গীর এই মন্তব্য অপমান বলেই মনে করছে। দলের এক নেতার সাফ কথা, এসব ভুঁইফোঁড়দের দলে দয়া করে থাকতে দেওয়া হয়েছে। নারদার ফুটেজে যাকে শেয়ার চাইতে দেখা গিয়েছে, তাকে যে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি, সেটাই তার পক্ষে যথেষ্ট।

রাজ্য বিজেপির এক শীর্ষস্থানীয় নেতা বলছেন, কার প্রশ্রয়ে এসব মন্তব্য করছেন? এখনই মুখ বন্ধ করুন এইসব পরিযায়ী নেতারা। সমস্যা মেটাতে ওদের পরামর্শ না দিলেও চলবে। তিনি যদি ভেবে থাকেন দলের কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে ঘুরে বেড়ানোর দৌলতে এসব কথা বলার লাইসেন্স পেয়ে গিয়েছেন, তাহলে ভুল করছেন। বাড়াবাড়ি করলে দল তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে পিছপা হবে না।

আরও পড়ুন: ‘Save Bengal from Bjp’, সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনব ক্যাম্পেনিং তৃণমূলের

তবে যুব মোর্চার জেলা কমিটি ভেঙে দেওয়া নিয়ে বিজেপিতে যে অশান্তি বাড়ছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যে কোনও সময়ে সমস্যা গভীর থেকে গভীরতর হতে পারে। দিলীপ ঘোষ অবশ্য বলেছেন, দলের শৃঙখলা না মানলে দল ব্যবস্থা নেবে। সেখানে কাউকে রেয়াত করা হবে না। লক্ষ্য যে শঙ্কুদেব কিংবা তার মদতদাতারা, তা বলা নিষ্প্রয়োজন।

Related articles

আদিবাসী উন্নয়ন আরও সুদূর প্রসারি করার বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর, সৌজন্য উড়িয়ে বৈঠকে অনুপস্থিত বিজেপি

আদিবাসী উন্নয়ন নয়, রাজনীতিই যে তাদের লক্ষ্য তা আরও একবার প্রমাণ করল বিজেপি (BJP)। আমন্ত্রণ পেয়েও সৌজন্যের জবাব...

DHFC-র হারের পরই ক্লাব থেকে কর্তাদের ছোট করার চেষ্টা, জবাব দিলেন মানস

ডুরান্ড কাপের(Durand Cup) ফাইনালে পৌঁছে সকলকে চমকে দিয়েছিল ডায়মন্ডহারবার এফসি(DHFC)। বাংলার ফুটবলকে যে দল নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছে, তাদের...

আধারের অভাবে রেশন বঞ্চনা নয়, কড়া নির্দেশ খাদ্য দফতরের 

আধার কার্ড না–থাকা বা বায়োমেট্রিক যাচাই না–হওয়ার কারণে আর কোনও বৈধ রেশন গ্রাহককে খাদ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত...

হাওড়ায় বৃদ্ধ খুনের নেপথ্যে সমকামী সম্পর্ক-ব্ল্যাকমেইল! তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য

হাওড়ায় বৃদ্ধ খুনের নেপথ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য। হাওড়ার গোলাবাড়ি থানার সালকিয়ার অরবিন্দ রোডের বাসিন্দা অসীম দে (Asim de) খুন...
Exit mobile version