এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার কমিশনের ভূমিকা যে সম্পূর্ণ পক্ষপাতদুষ্ট সেই অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। ফের একবার ভোটার ও বিরোধীদের লক্ষ্য করে বিজেপির E² ব্যবহার নিয়ে তোপ দাগলেন তিনি। সোমবার, এক ভিডিও বার্তায় অভিষেক বলেন, “যখন একটা ‘E’ অর্থাৎ ইলেকশন কমিশনকে কোনওভাবেই নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করা গেল না, তখন খুব সহজেই এনডিএ সরকার ঘুরে গেল ‘E²’ অর্থাৎ ইডির দিকে।”
এর আগে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিযোগ করেছিলেন, কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে বিরোধীদের দমনে হাতিয়ার করছে বিজেপি। অভিষেক হুঁশিয়ারি দেন, কমিশন এসআইআরের নামে বাংলার বৈধ ভোটারদের নাম তালিকা থেকে বাদ দিলে আগামী দিনে মানুষকে নিয়ে গণ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
এদিন ফের ভোটার ও বিরোধীদের লক্ষ্য করে বিজেপির E² ব্যবহার নিয়ে সরব হলেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। একটি ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, “যখন একটা ‘E’ অর্থাৎ ইলেকশন কমিশনকে কোনভাবেই নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করা গেল না তখন খুব সহজেই এনডিএ সরকার ঘুরে গেল ‘E²’ অর্থাৎ ইডির দিকে। অন্যদিকে ইডির উদ্দেশ্য কিন্তু একেবারেই রাজ্যগুলি দুর্নীতি মুক্ত করা নয়। উল্টে ইডির একমাত্র লক্ষ্য হল কীভাবে গণতন্ত্রের মুখ বন্ধ করে বিরোধীদের নেতাদের জেলে ঢোকানো যায়, কীভাবে জনগণের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করা যায়। ক্ষমতায় থাকা এই কেন্দ্রীয় সরকার শুধুমাত্র জনগণ বিরোধী বা গণতন্ত্র বিরোধী নয়, বিজেপি সরকার কৃষক বিরোধী, গরিব বিরোধী, সংখ্যালঘু বিরোধী, রাষ্ট্র বিরোধী এমনকি দেশ বিরোধী। বিজেপিকে একটা ভোট শুধুমাত্র একটা ভোট নয়, এটা দেশের সত্তাকে বিক্রি করে দেওয়া, দেশের অতি মূল্যবান সংবিধান বিক্রি করা। ক্ষমতালোভী স্বৈরাচারীদের হাতে নিজের দেশকে তুলে দেওয়া এবং দেশকে তাঁদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি মনে করার স্বাধীনতা দেওয়া। এটা একেবারেই গণতন্ত্রের সঠিক সংজ্ঞা নয়।“
অভিষেক মোদি সরকাকে নিশানা করে তিনি বলেন, অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে জনগণের রায়কে অসম্মান করে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতেই বিভিন্ন রকম কৌশল অবলম্বন করছে কেন্দ্র।
–
–
–
–
–
–