পুজোর মরশুমে ভিড় দিঘা-মন্দারমণিতে, সৈকত ফাঁকা পুরীর

পুজোর মরশুমের কয়েক সপ্তাহ আগে থেকেই হাউসফুল ছিল দিঘা, মন্দারমনি সহ অন্যান্য সমুদ্র সৈকতগুলি। পুজোর সময় সেই ভিড় বাড়ল কয়েক গুণ বেশি। যদিও, জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, পর্যটকদের মাস্ক ব্যবহার করার জন্য বার বার আবেদন জানানো হচ্ছে।  আগামী দিনে সচেতনতা নিয়ে প্রচার আরও বাড়বে।

কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে এবছর পর্যটকশূন্য মণ্ডপ। তার রেশ গিয়ে পড়েছে পর্যটন এলাকাগুলিতে। যার জেরে শিকেয় উঠেছে স্বাস্থ্যবিধিও। সরকারের নির্দেশমত, জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহেই খুলে গিয়েছিল দিঘা, মন্দারমনি তাজপুরের হোটেলগুলি। হোটেল ব্যবসায়ীরা জানান, লক্ষ্মী পুজো পর্যন্ত বেশিরভাগ ঘরের বুকিং আগে থেকেই করা আছে।

আরও পড়ুন : ভয়ডর উপেক্ষা করেই পর্যটক হাজির দার্জিলিঙে

পুজো এলেই পাহাড়, জঙ্গল কিংবা সমুদ্রের ঠিকানায় দূর দূরান্তে পাড়ি দেওয়াই বরাবর বাঙালির দস্তুর। কিন্তু সেই চিরাচরিত অভ্যাসে এবার ভাটা পড়েছে। করোনা অতিমারির ধাক্কায় এবছর বন্ধ যাত্রীবাহী ট্রেন। তাতে কী? পর্যটকদের ভিড়ে রীতিমতো সরগরম সাগর সৈকত। পুজোয় এমন ভিড় এই প্রথম বলে মানছেন হোটেল মালিকরাও।

যেখানে দিঘা বা মন্দারমণিতে উপচে পড়া ভিড়, সেখানে প্রায় ফাঁকা পুরীর রাস্তা। বাঙালির প্রাণকেন্দ্র পুরী এবার যেন হারিয়েছে পর্যটকের জৌলুস। গত বছরও যেখানে পুজোর সময়ে পুরীতে কয়েক হাজার পর্যটক ভিড় জমিয়েছিলেন, সেখানে এবার দেখা গেল ফাঁকা সৈকত।

আরও পড়ুন : আবার এসো মা…! উমার বিদায়ে বিষাদের সুর বাঙালি হৃদয়ে, দেখুন বাবুঘাটের ছবি

Previous articleপ্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হল দুর্গাপুজো
Next articleকরোনা আক্রান্ত বিদেশ বসু, আইসোলেশনে বন্ধু মানস ভট্টাচার্য