দূষণ নিয়ন্ত্রণে আরও কড়া আইনের ঘোষণা কেন্দ্রের

দিল্লির বায়ু দূষণ নিয়ে নড়েচড়ে বসল কেন্দ্রীয় সরকার। প্রতিবছরই অক্টোবর-নভেম্বরে দিল্লির আকাশ ধোঁয়াশায় ঢেকে যায়। কিন্তু তা নিয়ে কার্যত নির্বাক রাজ্য সরকার। এতদিন পর্যন্ত হেলদোল ছিল না কেন্দ্রেরও। এবার দূষণ সংক্রান্ত আইন আনা হবে বলে ঘোষণা করল কেন্দ্র।

সুপ্রিম কোর্টকে কেন্দ্র জানিয়েছে, দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকায় বায়ু দূষণ রাশ টানতে নতুন পরিকল্পনা নিচ্ছে কেন্দ্র। এই নিয়ে আইন আনা হবে বলে জানিয়েছে সরকার। আইন সংক্রান্ত খসড়া চূড়ান্ত হবে আগামী ৪-৫ দিনের মধ্যে। কেন্দ্র জানিয়েছে রাজধানী এবং সংলগ্ন এলাকায় বায়ু দূষণে লাগাম দিতে একটি স্থায়ী সংস্থা তৈরি হবে। দূষণ সমস্যা সমাধানে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে সংশ্লিষ্ট সংস্থা।

মহামারির মধ্যে দিল্লির দূষণ নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজ়িজ় কন্ট্রোল জানিয়েছে, শীতের সময় দিল্লিতে প্রতিদিন ভাইরাস সংক্রমিতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছুঁতে পারে। এমনিতেই এখন প্রতিদিন নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার ছাপিয়ে গিয়েছে। গাড়ির ধোঁয়ার পাশাপাশি দিল্লির ধোঁয়াশার প্রধান কারণ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশের মতো আশপাশের রাজ্যে ফসলের গোড়া পোড়ানো। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সমীক্ষা অনুযায়ী, বাতাসে প্রতি ঘনমিটারে এক মাইক্রোগ্রাম দূষণ বাড়লেই কোভিডে মৃত্যুর সংখ্যা ৮ শতাংশ বাড়তে পারে। এই প্রেক্ষাপটেই গত ১৬ অক্টোবর প্রাক্তন বিচারপতি মদন বি লোকুরকে এক সদস্যের কমিশন হিসেবে নিয়োগ করে।

দিল্লির এক কিশোর দূষণমুক্ত বাতাসে শ্বাস নেওয়ার অধিকার চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। সেই মামলার শুনানিতে লোকুর কমিশন গঠনের কথা জানায় আদালত। আদালতের এই সিদ্ধান্তের পরই নড়েচড়ে বসে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর দিল্লি সহ সংলগ্ন রাজ্যগুলির সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই অনুযায়ী আইন এনে সরকারি সংস্থা তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। আদালতে কেন্দ্র এই বক্তব্য জানায়। এদিকে আইনজীবী বিকাশ সিংহ কেন্দ্রের আর্জির পাল্টা যুক্তিতে বলেন, আইন হলেও তা এ বছর কার্যকর হবে না। তত দিন লোকুর কমিশন কাজ করুক।

এদিনের শুনানিতে অবশ্য কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে। তিনি বলেন, ‘‘এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। যার সঙ্গে স্বাস্থ্যও জড়িয়ে আছে। এই পদক্ষেপ জরুরি ছিল।’’ দূষণ নিয়ন্ত্রণে যে ব্যবস্থা রয়েছে, তা ঠিক মতো কাজ করছে না বলে মেনে নিয়েছেন মেহেতা। তাঁর যুক্তি, প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় সরকার দ্রুত আইন কার্যকর করতে অধ্যাদেশও জারি করতে পারে।

আরও পড়ুন:কলেজের সামনেই গুলিতে মৃত্যু ছাত্রীর, উত্তপ্ত হরিয়ানা

 

 

Previous articleকীভাবে হল তাঁর গানের অ্যালবাম ‘সৃষ্টি’? জানালেন মমতা
Next articleইংরেজবাজারের রেল কোয়ার্টারে কর্মীর রহস্য মৃত্যু