এবারের মতো দেশ থেকে বিদায় নিয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমিবায়ু। সেই সুযোগেই বঙ্গে ঢুকছে উত্তরে বাতাস। রাতের দিকে তাপমাত্রাও নামছে। হেমন্তের পড়ন্ত বেলায় একটা ঠান্ডা আমেজ, যতদিন যাবে ততই জাঁকিয়ে বসবে। একটি পশ্চিমি ঝঞ্ঝার হাত ধরে কাশ্মীর, সিকিমে মরসুমের প্রথম তুষারপাতও হয়েছে। সবমিলিয়ে হাজির হেমন্ত। এখনই শীত আসেনি, তবে খুব শিগগির যে সে এসে পড়বে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।

আরও পড়ুন : যাত্রীসংখ্যা অপর্যাপ্ত, উঠছে না জ্বালানি খরচ: সংশয়ে কলকাতা-লন্ডন বিমান পরিষেবা


দেরিতে হলেও চলতি সপ্তাহে অবশেষে বাংলা থেকে বিদায় নিয়েছে বর্ষা। যার জেরে ভোর ও রাতে নামছে তাপমাত্রার পারদ। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শীত এখনও বহুদূর। এখন তাপমাত্রার ক্ষেত্রে যে পতন ঘটতে দেখা যাচ্ছে আদতে তা হেমন্তের গুণ। শীত আসার আগে এই হেমন্তেই ধীরে ধীরে পারদ নামতে থাকে ও শীত আসার মতো পরিস্থিতি তৈরি করে।

আরও পড়ুন : লাগামছাড়া দাম রুখতে পদক্ষেপ, বিদেশে পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করল কেন্দ্র


আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে আরও খবর, বঙ্গোপসাগরে নতুন করে একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে চলেছে। তার জেরে সাগর থেকে হু হু করে দক্ষিনবঙ্গে ঢুকবে জলীয় বাতাসে ভরা দক্ষিণা বাতাস। যার জেরে আগামীকাল থেকেই মেঘলা হতে শুরু করবে আকাশ। হতে পারে কয়েক পশলা বৃষ্টিও।

দিনকয়েক আগে পর্যন্তও রাতের তাপমাত্রা ২৫-২৬ ডিগ্রির আশপাশে ঘোরাফেরা করছিল। যার অন্যতম কারণ সাগরে পর পর সৃষ্ট হওয়া নিম্নচাপ। তবে এই রাতে এবং ভোরের দিকে বেশ ঠান্ডা অনুভূতি স্থায়ী নয়। সপ্তাহ শেষ থেকেই ফের তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করবে, জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

নভেম্বরের শেষের দিকে শীত পড়ার মতো একটা পরিস্থিতি তৈরি হবে। তবে সাগরে যদি ঘন ঘন নিম্নচাপ তৈরি হয় তাহলে সেই পরিস্থিতি ধাক্কা খাবে। দখিনা হাওয়ায় ধাক্কা খাবে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে আসা ঠান্ডা হাওয়াও। ফলে বাংলায় শীত পড়তে অসুবিধাই হবে। এবারে কিন্তু সাগরে ঘন ঘন নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার পাশাপাশি উত্তর-পশ্চিম ভারতেও ঘন ঘন পশ্চিমি ঝঞ্ঝা হানা দিতে পারে, তার জেরে বাংলাতেও বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে পুরো শীত জুড়েই। তাই খুব বেশি জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়ার সম্ভাবনা এবারে নেই বললেই চলে।
