প্রথমদিনই ডিএম-এসপিকে তলব, কেন এক চা-বাগান মালিকের সঙ্গে লাঞ্চ রাজ্যপালের?

কিশোর সাহা

সকালে দার্জিলিঙের ডিএম, এসপিকে তলব। দুপুরে একজন চা বাগানের মালিকের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল ঠিক কী করছেন দার্জিলিঙে তা নিয়ে মিডিয়া মহলে আলোচনা তুঙ্গে।

গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা, পাহাড় তৃণমূল কিংবা সমতলের বাম-কংগ্রেসও বোঝার চেষ্টা করছেন রাজ্যপাল কি বিজেপির হয়ে ব্যাট করতেই পাহাড়ে এসেছেন? কারণ, বিমল গুরুং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে চলে যাওয়ার পরে দার্জিলিং পাহাড়ে বিজেপির হাতে পেনসিলের সিস ছাড়া কিছুই নেই! অন্তত, বিজেপির দার্জিলিঙের সাংসদ রাজু বিস্তেরর অনুগামীদের একাংশের একান্ত আলোচনায় সে কথাই শোনা যাচ্ছে। কয়েকজন বিজেপির সমর্তক জানান, রাজ্যপালকে সামনে রেখেই তাঁরা পাহাড়ে ফের বিজেপির রমরমা হবে বলে আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছেন।

রবিবার বিকেলে রাজ্যপাল দার্জিলিং পৌঁছে প্রেস কনফারেন্স করলেও সোমবার বিকেল পর্যন্ত কোনও বিবৃতি দেননি। সূত্র অনুযায়ী, তিনি রাজভবনে দার্জিলিঙের ডিএম এবং এসপিকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। সৌজন্যবশত ডিএম ও এসপির যাওয়ার কথা থাকলেও দুজনে একসঙ্গে যেতে পারেননি। তাঁদের সঙ্গে দেখা হয়েছে কি না অথবা আদপে কথাবার্তা হয়েছে কি না তা নিয়েও রাজভন এখনও নীরব। প্রশাসনও নিঃশব্দ।

এই অবস্থায়, পাহাড়ের সংবাদমাধ্যমও কোনও ঝুঁকি না নিয়ে রাজভবনের জন্য আলাদা ফটোগ্রাফার, রিপোর্টার নিয়োগ করেছে। শিলিগুড়িতে উত্তরকন্যা, দার্জিলিঙের পুলিশ অফিস, আদালত, হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চের পাশাপাশি বর্তমানে রাজভবনের বাইরে একজন ফটোগ্রাফার ও রিপোর্টার রাখার ব্যবস্থা করেছে। দার্জিলিঙের কেবল টিভি সম্প্রচারে যে সংস্থা এগিয়ে রয়েছে, তার এক কর্তা জানান, রাজ্যপাল আসার পরেই একটি সাংবাদিক বৈঠক করেছেন। আগামী দিনে কখন কী করবেন তা জানা মুশকিল। সে জন্যই তাঁরা রাজভবন বিট চালু করে দিয়েছেন বলে ওই কর্তা জানান।

রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন উত্তরবঙ্গের একটি চা বাগান গ্রুপের মালিক অনিল কুমার ঝাঁকে মধ্যাহ্ন ভোজনে ডাকেন রাজ্যপাল। তাঁকে কেন ডাকেন, তাঁর সঙ্গে কী নিয়ে কথা হয়েছে? তা নিয়ে রাজভবনের তরফে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।

তৃণমূলের পাহাড় শাখার একাধিক নেতা ও বিনয় তামাং গোষ্ঠীর কয়েকজন মোর্চার নেতা জানান, রাজ্যপাল কী জন্য, কাকে নিয়ে লাঞ্চ করছেন আগামী দিনে কাকে নিয়ে ডিনার করবেন তা সময়ই বলবে।

Previous articleরাজস্থানে গুর্জর বিদ্রোহ, ১৪ দফা দাবিতে রেল অবরোধ ভরতপুরে
Next articleপুলিশি হেনস্থার অভিযোগ: প্রতিবাদে বীরভূমে থানা ঘেরাও বিজেপির