কালীপুজোয় ২দিন ২ঘন্টা করে বাজি ফাটানোর আর্জি জানিয়ে রাজ্যকে চিঠি বাজি ব্যবসায়ীদের

প্রবল সংকটের মুখে রাজ্যের প্রায় ৩১ লক্ষ বাজি ব্যবসায়ী। একদিকে কলকাতা হাইকোর্টে কালীপুজোয় বাজি ফাটানো নিষিদ্ধ করার আর্জি নিয়ে মামলা, অন্যদিকে রাজ্য সরকার-সহ বিভিন্ন সংগঠন এবার অন্তত বাজি না ফাটানোর আবেদন করেছে। করোনা মহামারি আবহের মধ্যে এমনিতেই আর্থিক অনটনের মধ্যে রয়েছে বাজি ব্যবসায়ীরা। তার উপর বাজি নিষিদ্ধ হলে প্রবল সংকটের মধ্যে পড়বেন ৩১ লক্ষ বাজি ব্যবসায়ী। তাই তাঁদের দিকটিও বিবেচনা করার আর্জি জানিয়েছেন বাজি ব্যবসায়ীরা।

বাজি ব্যবসায়ী সংগঠনের সঙ্গে আগামীকাল, বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসবে রাজ্য। নবান্নে এই বৈঠকে রাজ্যের পক্ষে থাকবেন মুখ্য ও স্বরাষ্ট্র সচিব। সারা বাংলা বাজি ব্যবসায়ী উন্নয়ন সমিতির চেয়ারম্যান বাবলা রায় আজ, বুধবার দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দেন। সেখানে ৩১ লক্ষ মানুষের জীবন ও জীবিকা সংশয়ের বিষয়টি জানানো হয়। এরপর বেলা সাড়ে তিনটেয় নবান্ন থেকে বাবলা রায়ের কাছে ফোন পৌঁছায়। মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় কিছুক্ষণ কথা বলার পর ফোনে কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বয়ং। তিনি গোটা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার জন্য আগামিকাল বাবলা রায়কে নবান্নে ডেকে পাঠান।

 

রাজ্যের কাছে মূলত যে আর্জি জানাবেন বাজি ব্যবসায়ীরা

(১) ১৪ ও ১৫ নভেম্বর রাত ৮ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত অর্থাৎ দু’দিনে মোট ৪ ঘণ্টা রাজ্যে বাজি পোড়ানোর অনুমতি দিক রাজ্য সরকার।

(২) ৩১ লক্ষ বাজি শিল্পী ও বিক্রেতার মধ্যে যাঁরা সরকারি লাইসেন্সপ্রাপ্ত, অর্থাৎ দমকল, পরিবেশ-সহ অন্যান্য ৬ টি সরকারি দফতর দ্বারা স্বীকৃত, সেই ৫৩ হাজার ব্যবসায়ীকে ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক ক্ষতিপুরণ দিক রাজ্য।

যে শর্ত চাপাতে পারে রাজ্য সরকার

(১) চাইনিজ বাজি বিক্রি ও ফাটানো নিষিদ্ধ।

(২) বেশি ধোঁয়া হয় এমন বাজি যেমন সাপ বাজি, ইলেকট্রিক তার, রং মশাল নিষিদ্ধ।

(৩) শুধুমাত্র পরীক্ষিত পরিবেশ বান্ধব বাজি বিক্রি ও ফাটানোর অনুমতি।

 

Previous articleমার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন, ২০২০, ফলপ্রকাশে কেন দেরি হচ্ছে?
Next articleমতুয়াদের পাশে আছি, ভোটের আগে কেউ উড়ে এসে জুড়ে বসছে: কটাক্ষ মমতার