ঢিমেতালে চলছে লকগেট মেরামতি, বৃহস্পতিবারও কাজ সম্পন্ন হবে কিনা রয়েছে ধোঁয়াশা

দুর্গাপুর ব্যারেজের গেট ভেঙে ছিল শনিবার সকালে। এরপর থেকে কাজের প্রস্তুতিতেই কেটে গিয়েছে চারদিন। এরপর মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে কাজ শুরু হলেও, নানা বাধা-বিপত্তির কারণে ঢিমেতালে চলছে লকগেটের মেরামতি। ফলস্বরূপ বৃহস্পতিবারের মধ্যে কাজ সম্পন্ন হবে কি না তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। অন্যদিকে গোটা পরিস্থিতির কারণে জল সংকট তীব্র হয়েছে এলাকায়। ঘাটতি দেখা দিয়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদনেও। গোটা পরিস্থিতির জেরে চরম সংকটের মুখে পড়েছে শিল্পাঞ্চল এলাকা দুর্গাপুর।

প্রসঙ্গত, শনিবার সকালে দুর্গাপুর ব্যারেজের ৩১ নম্বর লকগেট ভেঙে যাওয়ার পর সমস্ত ড্যাম বন্ধ করে দেওয়া হয়। তারপরও হুড়মুড়িয়ে যেভাবে জল ঢুকেছে তাতে বাতিল হয় সমস্ত পরিকল্পনা। এরপর সেচ দফরের আধিকারিকদের পরামর্শ মতো বালির বস্তা ফেলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন কর্মীরা। মঙ্গলবার সেই কাজ সম্পন্ন হয়। তবে জল আটকানো গেলেও চুঁইয়ে চুঁইয়ে জল বেরোচ্ছে এখনও। যার ফলেই কাজের গতি চলছে অত্যন্ত ঢিমেতালে। গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছেন সেচ দফতরের আধিকারিকরা। পাম্প চালিয়ে শুরু হয়েছে জল বের করার কাজ। যদিও আধিকারিকদের দাবি, শীঘ্রই কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে। তবে এই ঘটনার জেরে যে দুর্ভোগ তৈরি হয়েছে তা সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রশাসনকে।

আরও পড়ুন:অমিতের ৪৮ ঘন্টার কর্মসূচিতে কৈলাশ-মুকুলরা মরিয়া নিজেদের প্রমাণে!

লক গেট ভেঙে যাওয়ার কারণে জল সংকটে পড়েছে বাঁকুড়া জেলার একাধিক এলাকা। প্রশাসনের তরফে নানান জায়গায় পুরসভার জলের গাড়িতে করে জল সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে সেই জল পর্যাপ্ত নয় বলে দাবি করেছেন এলাকাবাসী। এদিকে এই ঘটনায় বেড়েছে রাজনৈতিক তরজাও। বিজেপি তরফে অভিযোগ করা হয়েছে তৃণমূল এবার জল নিয়েও রাজনীতি শুরু করে দিয়েছে। যদিও তৃণমূলের তরফে অভিযোগ অস্বীকার করে জানানো হচ্ছে মানুষ পর্যাপ্ত জল পাচ্ছেন। অন্যদিকে আবার জল সংকটের কারণে ব্যাহত হয়েছে দুর্গাপুরের বিপিএল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের কাজ। সোমবার অবশ্য বিপিএলে তরফে জানানো হয়েছিল যে পরিমান জল রয়েছে তাতে ৩-৪ দিন বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হবে না। কিন্তু মঙ্গলবার সকালে দেখা গেল বন্ধ হয়ে গিয়েছে উৎপাদন। অবশ্য এখানে বেশ কয়েকটি ইউনিট আগে থেকেই বন্ধ ছিল চালু ছিল ৭ নম্বর ইউনিট। সোমবার সেখান থেকে ২৬২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। এবং মঙ্গলবার সম্পূর্ণরূপে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায় সেখানে। এহেন অবস্থায় লকেট মেরামতির কাজ কখন সম্পন্ন হবে তার উপরেই নির্ভর করছে সমস্ত কিছু।

Previous articleঅর্ণব গ্রেফতার: কী বললেন শিবসেনার সঞ্জয় রাউত?
Next articleপ্রচারসভায় নীতিশের দিকে উড়ে এলো পেঁয়াজ! কিসের ইঙ্গিত?