কালীপুজো থেকে ছটপুজো- রাজ্যে এ বছরের জন্য নিষিদ্ধ সব রকমের বাজি । নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। একইসঙ্গে বন্ধ করা হয়েছে সব বাজি বাজার । বৃহস্পতিবার, এই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। প্রথম ভাগে আতসবাজি নিয়ে রায় দেওয়া হয়। সেখানে বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, করোনা রোগীদের জন্য বাজির দূষণ অত্যন্ত মারাত্মক ক্ষতি করে। সেই কারণে কোথাও যাতে বাজি ফাটানো না হয় সে বিষয়ে প্রশাসনকে নজর দিতে হবে।

দ্বিতীয় ভাগে বলা হয়, কালীপুজো, জগদ্ধাত্রীপুজো এবং কার্তিকপুজোয় রাজ্যে দুর্গাপুজোর বিধি বহাল থাকবে। এক্ষেত্রে দুর্গাপুজোয় পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেছে কলকাতা হাইকোর্ট।

কালীপুজো থেকে কার্তিকপুজো:
• 150 স্কোয়ার মিটার মণ্ডপে সর্বাধিক 10 জন সদস্য থাকতে পারবেন
• 150-300 স্কোয়ার মিটার মণ্ডপে সর্বাধিক 15 জন সদস্য থাকতে পারবেন
• 500 স্কোয়ার মিটারের মণ্ডপে সর্বাধিক 45 জন সদস্য থাকতে পারবেন

জগদ্ধাত্রী পুজো এবং কার্তিক পুজো রাজ্যের নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় হয়। সেই সব জায়গায় প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে হবে।
দুর্গাপুজোর সময় আদালতের নির্দেশ মেনে যেভাবে সারা রাজ্য উৎসব পালন করেছে তাতে আশঙ্কা থাকলেও সংক্রমণ সেভাবে বাড়েনি। সেই কারণে সেই মডেলকে সামনে রেখে এগোতে হবে।
• প্যান্ডেল থেকে 5 মিটার পর্যন্ত নো-এন্টি জোন।
• বিসর্জনের শোভাযাত্রা করা যাবে না।
• নির্দিষ্ট সংখ্যক লোক নিয়ে নিরঞ্জন করতে হবে।

আরও পড়ুন:সংখ্যা বাড়িয়ে লোকাল চালানোর পক্ষে মমতা

রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজো হওয়ার বিষয় নিয়ে আদালত বলে যেহেতু এটি বিচারাধীন, তাই সে বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাবে না। তবে, ছটপুজোয় যেভাবে ভিড় করে শোভাযাত্রা করে জলাশয়ের যাওয়া হয় সেটা রাজ্য প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
