বাম- কংগ্রেস জোটের আলোচনার মধ্যেই তাৎপর্যপূর্ণভাবে অন্য পথও খতিয়ে দেখছে কংগ্রেস।
সূত্রের খবর, তৃণমূলের সঙ্গে জোট করলে কতটা লাভ? এই খবরও নিচ্ছেন সোনিয়া গান্ধী। যদিও তৃণমূল একা লড়ার পথেই আছে।
দিল্লির খবর, দুই বিশিষ্ট নেতা বিকল্প পথ নিয়ে বাংলার নেতাদের মতামত নিচ্ছেন।
হাইকমান্ড মনে করছে বামেদের সঙ্গে জোটে কংগ্রেসের তেমন লাভ হবে না। এই জোট বিকল্প হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। কোনো মুখ নেই। উল্টে এই জোট নিজে না জিতে ভোট কেটে বিজেপিকে কিছুটা সুবিধে করে দিতে পারে, মূলত সংখ্যালঘু এলাকায়।
ফলে কংগ্রেস হাইকমান্ড মনে করছেন তৃণমূলের সঙ্গে জোটের পথও খতিয়ে দেখা ভালো।
প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরী যদিও খুবই সক্রিয়। বিজেপি ও তৃণমূল, দুই শক্তির বিরুদ্ধেই আক্রমণাত্মক। কিন্তু মোটের উপর কং-বাম জোট সেভাবে তৈরি নয়। বহু কংগ্রেস কর্মী সিপিএমের হাত ধরতে তৈরি নন। আবার বামেদের মধ্যেও শরিকদের নানা মুনির নানা মত।
সোমেন মিত্র জীবিত থাকতে জোট যেভাবে তৈরি হচ্ছিল, পদ্ধতিটাই ধাক্কা খেয়েছে আছে।
কংগ্রেসের মধ্যে অধীর, মান্নানরা চাইছেন বামেদের সঙ্গে জোট। তৃণমূল সরকারের পতন। সিপিএমের বহু ভোট তো এমনিতেই সোজা বিজেপিতে গিয়েছে।
অন্যদিকে সোমেন মিত্রের অনুগামী শিবির এবং আরও অনেকে আছেন যারা এই প্রবল মেরুকরণে তৃতীয় জোট ফ্লপ করবে। তার চেয়ে বিজেপি বিরোধিতাকে অগ্রাধিকার দিয়ে তৃণমূলের সঙ্গেই জোট হোক।
দিল্লির দুই নেতা রাজ্য নেতাদের মতামত নিচ্ছেন। এই সূত্র বলছে, যারা তৃণমূলের বিরুদ্ধেও এত হুঙ্কার দেন, তারা তো ভোটে ফলাফল দেখাতে পারেন না। তাহলে শুধু বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা করে লাভ কী?
সোনিয়া, রাহুলরা হঠাৎ এই বিকল্প পথ নিয়ে খোঁজ নিলেও বিষয়টি চেপে রাখা হচ্ছে। তৃণমূলের সঙ্গেও কথা হয়নি। তৃণমূল একা লড়ার প্রস্তুতি রেখেই চলছে। রাজ্য কংগ্রেসের একাংশের নেতার উপর তৃণমূল বিরক্ত।
এই পরিস্থিতিতে এখনই বলা যায় না যে তৃণমূল এবং কংগ্রেসের জোট হবে। তবে রাজনীতিতে নয়া মোড়ের যে একটা গন্ধ ভাসছে, তার ইঙ্গিত স্পষ্ট।
আরও পড়ুন-আজ বৈশাখীকে ফেলে রেখে কি একাই শোভন ইজেডসিসিতে আসছেন?