বিভীষণকে নিয়ে কী ভীষণ টানাটানি! আজ বাড়িতে বিজেপি সাংসদ

ক্রমশ রাজ্য-রাজনীতিতে ‘তারকা’ হয়ে উঠছেন বাঁকুড়ার বিভীষণ হাঁসদা। জেলা সফরে বেরিয়ে যার বাড়িতে গিয়ে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মধ্যাহ্নভোজ সেরেছিলেন। গতকাল তৃণমূলে নেত্রী সোনাই মুখোপাধ্যায় গিয়েছিলেন তাঁর বাড়িতে। তাঁদের অসুবিধের কথা জানতে। তৃণমূলে নেত্রী যথারীতি চাল ডাল, কাপড় দিয়ে সাহায্য করেছিলেন তাঁকে। এরপর তিনি আশ্বাসও দেন, পরিবারের অসুবিধায় তিনি পাশে দাঁড়াবেন।

ঠিক তৃণমূল নেত্রী বিভীষণের বাড়িতে যাওয়ার পরেরদিনই বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার দুপুরে হাজির হন। বিভীষণ হাঁসদার মেয়ের চিকিৎসার দায়িত্ব নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন অমিত শাহ। তাঁর কথা মতোই রবিবার বাঁকুড়ার বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে হাজির হলেন বিজেপি সাংসদ তথা চিকিৎসক সুভাষ সরকার। খতিয়ে দেখলেন বিভীষণবাবুর মেয়ের চিকিৎসার কাগজপত্র। এরপর বিভীষণের পারিবারিক সমস্যার কথা জানতে পেরে প্রশাসনের তরফ থেকে বিডিও আসেন। তাঁদের সমস্যার কথা জানতে চান। এবং সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দেন।

আরও পড়ুন- প্রসঙ্গ: বাংলার বিধানসভা ভোট, সোমবার কলকাতায় সর্বদল বৈঠকে নির্বাচন কমিশন

উল্লেখ্য, বাঁকুড়ার প্রত্যন্ত গ্রামের বিভীষণ হাঁসদার মেয়ে রচনা হাঁসদা দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া। দীর্ঘদিন ধরেই ডায়বেটিস ইনসিপিডাস রোগে আক্রান্ত সে। দু’‌বছর ধরে চলছে চিকিৎসা। নিয়মিত ইনসুলিন নিতে হয় তাঁকে। ফলে মাসে মেয়ের চিকিৎসার জন্যই বিভীষণের খরচ হয় ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা। তার চিকিৎসার খরচ জোগাড় করেতে হিমশিম খেতে হয় বিভীষণকে। স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী আগেই বিভীষণকে আশ্বাস দিয়েছিলেন, ওই পড়ুয়ার খরচ নেবে বিজেপি। এদিন রচনার সমস্ত রিপোর্ট খতিয়ে দেখেছেন চিকিৎসক–সাংসদ সুভাষ সরকার। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, প্রয়োজনে এইমস হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানো হবে ওই ছাত্রীর। বিজেপি’‌র এই সহযোগিতায় আনন্দে আত্মহারা বিভীষণ হাঁসদা। তাঁর কথায়, ‘‌আমি রাজনীতি করি না। আজ সুভাষবাবু আসায় মনে হচ্ছে মেয়েটা সুস্থ হয়ে যাবে।’

তৃণমূলের দাবি, আমরা দিনের পর দিন মানুষের পাশে ছিলাম, আছি, থাকব। ‌আমরা আর পাঁচজনের মতোই বিভীষণকে সাহায্য করেছি। তৃণমূল এলাকায় এলাকায় প্রত্যেকটা মানুষকে সাহায্য করে।

আরও পড়ুন- বাড়ি থেকে উদ্ধার মারিজুয়ানা, গ্রেফতার বলিউড প্রযোজকের স্ত্রী