বন্দিদশায় ফোন ব্যবহারের গুরুতর অভিযোগ, ‘পৃথকবাস’ ছেড়ে পাকাপাকি জেলযাত্রা অর্ণবের

আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলায় সম্প্রতি রিপাবলিক টিভি সঞ্চালক অর্ণব গোস্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে মহারাষ্ট্র পুলিশ। গ্রেফতারের পর থেকে জেল হেফাজতে আলিগড়ের ‘পৃথকবাস কেন্দ্র’তে রাখা হয়েছিল অর্ণবকে। সেখানেই এবার বড় ভুল করে বসলেন ওই সাংবাদিক। জেল হেফাজতে পৃথকবাস কেন্দ্রে থাকার সুযোগে মোবাইল ফোন ব্যবহার করার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠল অর্ণবের বিরুদ্ধে। যার জেরেই এবার বন্দীদশার অস্থায়ী কারাগারে থাকার সুবিধা কাটছাঁট করে সরাসরি মহারাষ্ট্রের রায়গড় জেলার তলোজা জেলে স্থানান্তর করা হলো আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় অভিযুক্ত অর্ণব গোস্বামীকে।

রায়গড় ক্রাইম ব্রাঞ্চ সূত্রের খবর, সম্প্রতি জেল হেফাজতে থাকাকালীন অর্ণব গোস্বামী অন্য একজন ব্যক্তির মোবাইল ব্যবহার করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়াতেও তার গতিবিধি নজরে পড়েছে। অথচ ৪ নভেম্বর অর্ণবকে জেল হেফাজতে পাঠানোর পর তার মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছিল পুলিশ। গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের গাড়ি থেকে চিৎকার করে সে অভিযোগ তুলেছিল, তাকে তার উকিলের সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না। এবং জেলের অন্দরে ব্যাপক মারধরও করা হয়েছে তাকে। যদিও এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে পুলিশের তরফে। তবে জেল হেফাজতে ‘পৃথকবাস কেন্দ্রে’ থাকাকালীন একটি ভুলের কারণে এবার দাগি আসামিদের সঙ্গে রাত্রিবাস করতে হবে অর্ণবকে।

আরও পড়ুন:কৃষকদের কাছে টানতে খেতে নেমে কাস্তে দিয়ে ধান কাটছেন বিজেপির জেলা সভাপতি

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে আত্মঘাতী হন ইন্টিরিয়র ডিজাইনার অনভয় নায়েক ও তাঁর মা কুমুদ নায়েক। মৃত্যুর আগে অনভয় অভিযোগ করেন, রিপাবলিক টিভি চ্যানেল সংস্থার ইন্টিরিয়র ডিজাইনিং এর কাজ করার জন্য চুক্তি অনুযায়ী তাঁর যে টাকা প্রাপ্য তা তাঁকে দেননি অর্ণব গোস্বামী। এরপর এই আত্মহত্যা নিয়ে আলিবাগ থানায় অর্ণবের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায় আত্মঘাতী মা- ছেলের পরিবার। পরবর্তী সময়ে পরিবারের পক্ষ থেকে মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখের কাছে অভিযোগ জানানো হয় যে অভিযুক্ত অত্যন্ত প্রভাবশালী বলেই ঠিকভাবে তদন্ত চালাচ্ছে না পুলিশ। এরপর মহারাষ্ট্র পুলিশের তদন্তের ভিত্তিতে বুধবার সকালে নিজের বাড়ি থেকে অর্ণব গোস্বামীকে আটক ও গ্রেফতার করে পুলিশ।