দূষণ রোধে সোমবার থেকেই দিল্লিতে সব রকম বাজি বিক্রি ও পোড়ানো নিষিদ্ধ করল জাতীয় পরিবেশ আদালত। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবত্ থাকবে। যে সব শহরে দূষণ কম, দীপাবলির সময় সেখানে দু’ঘণ্টার জন্য পরিবেশবান্ধব বাজি পোড়ানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট রাজ্য বাজি পোড়ানোর সময় নির্দিষ্ট করে দেবে বলে জানানো হয়েছে।

হরিয়ানা সরকার নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছে, দীপাবলি ও গুরুপরবের সময় রাত ৮টা থেকে ১০টা বাজি পোড়ানো যাবে। বড়দিন ও নববর্ষে রাত ১১টা ৫৫ থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বাজি পোড়ানোর অনুমতি দিয়েছে তারা।

করোনা সংক্রমণ ও বায়ুদূষণের কথা মাথায় রেখে এবছর রাজ্যে বাজি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে ৫ নভেম্বর রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানায়, এবছরের জন্য সমস্ত রকমের বাজি নিষিদ্ধ করা হল। কালীপুজো, দীপাবলি, জগদ্ধাত্রী ও ছটপুজোয় বাজি পোড়ানো ও বিক্রি করা যাবে না। এই নির্দেশ নিশ্চিত করতে পুলিশকে দায়িত্ব নিতে বলেছে আদালত।

একইসঙ্গে, দুর্গাপুজোর মতোই বিধিনিষেধ মেনে কালীপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো ও কার্তিক পুজো করার কথা বলা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে এর আগে বাজি বিক্রি নিষিদ্ধ করে রাজস্থান সরকারও। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট জানান, রাজ্যের মানুষের জীবন রক্ষাই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। সেই কারণেই দূষণ এড়াতে দীপাবলিতে বাজি বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এইবার সেই পথে হেঁটে দিল্লিতে নিষিদ্ধ বাজি।


আরও পড়ুন:মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের পর নাম বদলাচ্ছে জাহাজ মন্ত্রকের, জানালেন মোদি
